কাসেম সোলাইমানি বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এক আদর্শের নাম: পেজেশকিয়ান

0

৩ জানুয়ারি ২০২০, ড্রোন হামলায় মারা যান ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানি। বৃহস্পতিবার ছিল সোলেইমানির পঞ্চম শাহাদতবাষির্কী।

বিশেষ এই দিনটি রাজধানী তেহরানের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। যেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে আবেগী হয়ে উঠেন তিনি।

বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, শহিদ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি তার পুরো জীবন নিপীড়িত জনগণকে রক্ষা করতে এবং ইসলামী দেশগুলির মধ্যে ঐক্য বাড়ানোর প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করেছিলেন। শহিদ সোলেইমানির পথ ‘আমাদের যে পথটি গ্রহণ করা উচিত’ এর জন্য একটি চিরস্থায়ী মডেল হিসাবে কাজ করবে। কারণ তিনি ধার্মিকতা অনুশীলন করেছিলেন এবং নিপীড়িতদের রক্ষা এবং মানুষের সেবা করার জন্য তার সমগ্র জীবন ব্যয় করেছিলেন।

পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ‘তিনি মানুষের ধর্ম, ব্যক্তিগত রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন এবং আফগানিস্তানসহ বিশ্বের প্রতিটি কোণে নিপীড়িতদের রক্ষার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।’ বক্তব্যে শহীদ কমান্ডারকে সম্মানের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেন পেজেশকিয়ান। সেই সঙ্গে জানান ইরানি জাতি এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য তিনি আদর্শ ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তার বক্তব্যে আরও বলেন, জেনারেল সোলাইমানি কখনই রাজনৈতিক ইস্যুতে জড়িত ছিলেন না। তবে ইসলামিক দেশগুলির মধ্যে ঐক্য তৈরিতে সবর্ধা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। ইসলামিক ও মানবিক নীতি মেনে চলার মাধ্যমে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ত্যাগ, সাহস এবং প্রতিশ্রুতির একটি মডেল তৈরি করেছেন। যে কারণে তাকে নিয়ে আমাদের সর্বদা গর্বিত হওয়া উচিত।

ইরানের প্রেসিডেন্ট শহীদ সোলেইমানিকে নিয়ে আরও বলেন, ইরানের বাইরেও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত সোলেইমানি। বিশ্বের সমস্ত স্বাধীনতাকামী মানুষ তার শাহাদতের পাঁচ বছর পরেও তার পথ চালিয়ে যেতে আগ্রহী। জেনারেল সোলেইমানি স্বার্থপরতা এবং অহংকেন্দ্রিকতাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন বলেই তার বিশিষ্টতা এখনও উল্লেখ করা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com