বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মাঠের বাইরের অতৃপ্তি হয়ত মিটেছে মাঠের খেলায়

0

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মাঠের বাইরের অতৃপ্তি হয়ত মিটেছে মাঠের খেলায়। দিনের পর দিন দেশি ক্রিকেটের বড় আসর নিয়ে অভিযোগ ছিল রান না হওয়ার। নিম্নমানের এবং বোলিং সহায়ক উইকেটে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগের মান যেমন কমিয়েছে, তেমনি দর্শকদের জন্যেও হয়েছে বিরক্তির কারণ। আয়োজন নিয়ে কিছুটা হতাশ হলেও প্রথম দিনের পরীক্ষায় পাশ করেছে বিপিএলের ১১তম আসর।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রানের উৎসব দরকার। দর্শক ক্রিকেটকে আপন করে নিয়েছেন রানের জন্যেই। বিপিএল কাল উপহার দিয়েছে স্পোর্টিং উইকেট। হয়েছে রানবন্যার দুই ম্যাচ। সেই সুবাদে বিপিএলের ইতিহাসে এবারই প্রথম একদিনে ৩টি ১৯০ ছাড়ানো ইনিংসের দেখা মিললো। শুধু তাই না, প্রথম দিনের সাপেক্ষে এবারেই সবচেয়ে বেশি রান উঠেছে বিপিএলে।

২০১২ সালে বিপিএলের ১ম আসরের ১ম দিনে হয়েছিল ৬৯১ রান। সেদিনের দুই ম্যাচের চার ইনিংসে সিলেট রয়্যালস তুলেছিল ১৬৫, জবাবে বরিশাল বার্নার্স করে ১৬৭ রান। পরের ম্যাচে চিটাগাং কিংসের সংগ্রহ ছিল ২০৪। দুরন্ত রাজশাহী থেমেছিল ১৫৩ করে। উদ্বোধনী দিনের হিসেবে গত ১ যুগ ধরে টিকে ছিল এই রেকর্ড।

আর সেটা ভাঙলো ২০২৫ সালের আসরে। প্রথম ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর ১৯৭ রানের জবাবে ফরচুন বরিশালের স্কোর ২০০। আর পরের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের স্কোর ছিল ১৯১। ঢাকা ক্যাপিটালস থেমেছে ১৫১ রানে। সবমিলিয়ে রান হয়েছে ৭৩৯। যেটা বেশ বলার মতো রেকর্ড।

উদ্বোধনী দিনে দলীয় সংগ্রহের বিচারেও শীর্ষ ৫-র গতকালের তিনটি দলের স্কোর জায়গা করে নিয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড এখনো ২০১২ সালে চিটাগাং কিংসের করা ২০৬ রান। ২০১৩ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স করেছিল ২০৪ রান। এরপরেই আছে গতকালের ৩ ইনিংস। যেখানে ফরচুন বরিশাল করেছে ২০০। দুর্বার রাজশাহী ও রংপুর রাইডার্সের স্কোর যথাক্রমে ১৯৭ ও ১৯১।

উদ্বোধনী দিনে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানেও হয়েছে রেকর্ড। দুর্বার রাজশাহীর ইয়াসির আলী রাব্বির সামনে সুযোগ ছিল মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলের উদ্বোধনী দিনে সেঞ্চুরি করার। ২০১২ সালে বরিশাল বার্নার্সের জার্সিতে ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্রিস গেইল। এরপরেই আছে গতকাল ইয়াসির রাব্বির করা ৯৪ রান।

উদ্বোধনী দিনে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর
১০১* – ক্রিস গেইল, প্রতিপক্ষ সিলেট রয়্যালস (২০১২)
৯৪* – ইয়াসির রাব্বি, প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল (২০২৪-২৫)
৮৪* – ওয়াইস শাহ, প্রতিপক্ষ খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস (২০১৩)

ফরচুন বরিশাল এবং দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচটা অবশ্য বিপিএলের ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছে আরও একটা কারণে। বিপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হওয়ার ম্যাচ ছিল এটিই। তবে, এই রেকর্ডটা যৌথ। গত মৌসুমেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ম্যাচে দুই দল মিলে ২৯টি ছক্কা মেরেছিল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া সেই ম্যাচে ১৮টি ছক্কা মেরেছিলেন কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। বাকিগুলো চট্টগ্রামের।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা
২৯ ছক্কা – চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, চট্টগ্রাম (২০২৩-২৪)
২৯ ছক্কা – ফরচুন বরিশাল বনাম দুর্বার রাজশাহী, মিরপুর (২০২৪-২৫)
২৭ ছক্কা – ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স বনাম সিলেট রয়্যালস, মিরপুর (২০১২-১৩)

রিশাল-রাজশাহী ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা মেরেছেন রাজশাহীর ইয়াসির আলী। বরিশালের ফাহিম আশরাফের ছক্কা ৭টি। এ ছাড়া এনামুল হক ৫টি, মাহমুদউল্লাহ ৪টি, শাহিন আফ্রিদি ৩টি, তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ হারিস ১টি করে ছক্কা মেরেছেন।

আর উদ্বোধনী দিনের সাপেক্ষে এটাই সবচেয়ে বেশি ছক্কা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com