‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে ব্যাপক পর্যালোচনা জরুরি’
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে ব্যাপক পর্যালোচনা জরুরি। এক্ষেত্রে কমপক্ষে এক মাস সময় নেওয়া উচিত। না হলে এর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করার ঝুঁকি থাকবে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে একথা বলেছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এর আগে সাইবার নিরাপত্তা আইন ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এরপর আইনটি বাতিল হওয়ায় সব নাগরিকের মনে স্বস্তির সঞ্চার করেছে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপের অন্যতম। বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে এমন আইন বাতিল করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন ও বিধি শাখা থেকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অধ্যাদেশ সাইবার নিরাপত্তা এবং সাইবার অপরাধ দমন নিশ্চিত করবে বলে টিআইবি আশা করে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই খসড়া পর্যালোচনার জন্য মাত্র ৩ কর্মদিবসের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে এই সময় শেষ হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা ছাড়া অধ্যাদেশ জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। এ অবস্থায়, সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার জন্য কমপক্ষে ১ মাস সময় নিয়ে প্রক্রিয়াটি শেষ করে অধ্যাদেশটি জারির আহ্বান জানানো হয়।