এশীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন আজারবাইজানের বাকুতে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) ৭ম মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অধিকতর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অর্থপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা এবং এশীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সম্মিলিত নিরাপত্তা বজায় রাখতে সংহতির ভিত্তিতে সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক, পরিবেশ এবং মানবীয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরির বিষয়ে সিআইসিএ-কে একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভবিষ্যতে এ ফোরামের মাধ্যমে নতুন নতুন অংশীদারত্ব তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে কো-চেয়ারের ভূমিকায় বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে সিআইসিএ’র বিশেষ অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, এশিয়া অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে বহুজাতীয় ফোরাম, সিআইসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮। বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সিআইসিএ’র সদস্যপদ লাভ করে। এবারের মন্ত্রিপর্যায়ের সভায় সিআইসিএ’র বর্তমান সভাপতি কাজাখস্তান পরবর্তী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করে।