এমপি’র উপস্থিতিতে সময় টিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ১০

0

তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়ে সময় টিভির ক্যামেরা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এমপি এনামুল হক ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুর একটার দিকে হামলার সময় ছবি তুলতে গেলে সময় টিভির ক্যামেরা পারসন হাবিবুর রহমান পাপ্পুর ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়।

হামলার শিকার সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন হাবিবুর রহমান পাপ্পু জানান, দুপুর ১২ টার দিকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা পৌঁছালে চরমপন্থী গ্রুপের নেতা আর্ট বাবু তার লোকজন নিয়ে সম্মেলনস্থলে পৌঁছেন। এ সময় পৌর মেয়র কালামের লোকজন আর্ট বাবু সম্মেলনস্থলে কেন পৌঁছলো তা নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা আর্ট বাবুর লোকজনের উপর হামলা করে। এসময় হামলার ছবি তুলতে গেলে সময় টিভির ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করা হয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বেলা ১২টার দিকে তাহেরপুর পৌর এলাকার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আটবাবু তার কয়েকজন নিয়ে ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো হন। এসময় তাহেরপুর পৌর মেয়র, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ও তার ২০/২৫ জন সহযোগীকে নিয়ে আটবাবুর সহযোগীদের ওপর হামলা চালায়। পরে লাঠিপেটা করে সেখান থেকে তাদের বের করে দেয়। এতে আটবাবুর ৭/১০ জন কর্মী আহত হন। ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথি বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার উপস্থিতিতে পুলিশের সামনে মেয়র কালামের নির্দেশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি মেরাজ মোল্লা, রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, যুগ্মসম্পাদক আইনুদ্দীন ও স্থানীয় এমপি এনামুল হক। তাদের উপস্থিতিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাহারায় আট বাবু ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংবাদ কমীদের উপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকেরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com