শাক তুলতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার
মাগুরার মহম্মদপুরে এক কৃষকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার মহম্মদপুর থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিশুর মামী সীমা খাতুন ও নানী শলোকা বেগম জানান, শিশুটি তাদের বাড়ি উপজেলার মৌশা গ্রামে থেকে পড়ালেখা করে। গত সোমবার দুপুরে সীমার মেয়ে ও ওই শিশু একই গ্রামের কৃষক তকব্বর মোল্যার ধনিয়া ক্ষেতে বালিয়া শাক তুলতে যায়। শাক তুলে আসার সময় তকব্বর দুইজনের হাত ধরে ফেলেন। মামাতো বোন ছুটে যেতে পারলেও ওই শিশুটিকে ধরে ফেলেন তকব্বর। পরে তকব্বর শিশুটির মুখ বেঁধে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এদিকে শিশুটির মামাতো বোন বাড়িতে এসে খবর দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। ততক্ষণে তকব্বর মেয়েটিকে ফেলে পালিয়ে গেছেন।
শিশুর দূর-সম্পর্কের মামা নজরুল ইসলাম জানান, গ্রাম্য মাতুব্বর মোস্তফা সর্দার ও মিজানুর রহমান বিষয়টি নিয়ে শালিসের মাধ্যমে আপোষের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তারা থানায় অভিযোগ করতেও নিষেধ করেন। তাদের চাপের মুখে কয়েকদিন কেটে যায়। তবে এ নিয়ে শালিসে কোনো সুরাহা হয় না। এ দিকে শিশুটি ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে শিশুটির বাবা মাগুরা সদর থানার শত্রুজিৎপুর গ্রামের ফজলু শেখকে জানালে সে থানায় যেয়ে একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। শিশুটি ধর্ষণ হয়েছে কিনা তার মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিশুটিকে বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত তকুব্বর মৌশা গ্রামের মৃত রোকমান মোল্যার ছেলে।