বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের বহিষ্কারসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৬ দফা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রোগ্রাম করেছেন বলে দাবি করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে ক্যাম্পাসে রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে তারা এসব দাবি উত্থাপন করেন এবং ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তারা।
সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে সমাদৃত ও শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনার পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। তারপর বুয়েট বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাসে রূপ নেয়। বুয়েটে সর্বশেষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে যে নিরাপদ এবং সুন্দর একটি ক্যাম্পাস আমরা উপহার হিসেবে পেয়েছি, তা দেশব্যাপী সবার কাছে প্রশংসিত ও অনুকরণীয়। দেশের সব মানুষ, নানা প্রান্তের নানা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী দেখেছে একটি রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের রোল মডেল, তার সুফল, তার সৌন্দর্য, তার উৎকর্ষের যত সমূহ সম্ভাবনা।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে বুয়েটের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ২১তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বির বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও হল বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
২. ইমতিয়াজের সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার করতে হবে।
৩. বহিরাগত রাজনৈতিক যারা ক্যাম্পাসে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কেন, কীভাবে প্রবেশের অনুমতি পেলো, এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট জবাবদিহি বুয়েট প্রশাসনকে দিতে হবে।
৪. উপরিউক্ত ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে আমরা সব ব্যাচের শিক্ষার্থী ডিএসডাবলুর (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক) পদত্যাগ চাই।
৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের কারণে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। এর প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।
৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনও হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।