আপ কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত দিল্লি
আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’র হেফাজতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই উত্তপ্ত ভারতের রাজধানী। দফায় দফায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে। কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে প্রস্তুত ছিল পুলিশও। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে একাধিক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় পুলিশের তরফে। গোটা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি কোনোরকম মিটিং-মিছিলের উপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী- সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, ‘এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।’ তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়। এরপরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে পুলিশ।
শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইন-সহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি বিজেপি’র বিরুদ্ধে তোপ দেগে আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, ‘আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এদিকে কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন জেল থেকেই তিনি রাজ্য চালাবেন। দু’দিন আগে জেল থেকেই নিজের প্রথম সরকারি নির্দেশ দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এবার ফের একবার ইডি হেফাজত থেকেই নিজের দ্বিতীয় সরকারি নির্দেশ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভারদ্বাজ জানালেন, বিনামূল্যে ওষুধ এবং প্যাথলজি পরীক্ষার দ্বিতীয় নির্দেশ দিলেন কেজরিওয়াল। সৌরভ এদিন বলেন, দিল্লিবাসীর যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্যেই নিজের কাজ ইডি হেফাজতে থেকেও চালিয়ে যাবেন কেজরিওয়াল।