গাজার তিন হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান
গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত আল-আমাল এবং নাসের হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অপরদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, তীব্র গোলাগুলির কারণে মেডিকেল টিমের সদস্যরা সেখানে আটকা পড়েছেন। অপরদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা গাজার প্রধান আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৪৮০ যোদ্ধাকে আটক করেছে।
ইসরায়েল বলছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এই দাবির পক্ষে বেশ কিছু ভিডিও এবং ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। যদিও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং গাজার হাসপাতালগুলোর মেডিকেল স্টাফরা ইসরায়েলের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে তীব্র গোলাগুলি এবং বোমা হামলার মধ্যে আল-আমাল এবং নাসের হাসপাতালের আশেপাশে হঠাৎ একটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক প্রবেশ করায় তাদের এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
আল-আমাল হাসপাতালে অভিযানের বিষয়ে ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, সন্ত্রাসীরা আল-আমাল এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করছে।
রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী আমাল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে এবং এর আশেপাশে বুলডোজার দিয়ে ভয়াবহ অভিযান চালিয়েছে। আমাদের পুরো টিম এই মুহুর্তে চরম বিপদে রয়েছে এবং সম্পূর্ণরূপে অচল হয়ে গেছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আল-আমাল হাসপাতাল সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু সেখানে হাসপাতাল কর্মী ও রোগীদের পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত লোকজনও আশ্রয় নিয়েছে। লোকজনকে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করতে ইসরায়েল স্মোক বোমা ছুড়ছে।
রেড ক্রিসেন্ট পরবর্তী এক আপডেটে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালের কম্পাউন্ডের ভিতরেই এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।