১০ বছর আগে নিহত দুই সেনার মরদেহ ফেরত চায় ইসরায়েল
কাতারের রাজধানী দোহায় দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। তবে এই আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে হামাসের একটি সূত্র। কারণ ইসরায়েল আলোচনায় নতুন কিছু দাবি যুক্ত করেছে।
এরমধ্যে অন্যতম একটি হলো তারা গাজায় ১০ বছর আগে নিহত হওয়া দুই সেনার মরদেহ ফেরত চায়। ২০১৪ সালে গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে নিহত হন ওরন শল এবং হাদার গোল্ডিন নামের দুই সেনা। তাদের মরদেহ এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি হামাস।
অপরদিকে হামাস জানিয়েছে, যতক্ষণ ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না ততক্ষণ কোনো চুক্তিতে রাজি হবে না তারা। যদিও ইসরায়েল হামাসের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাসের ওই সূত্রটি সৌদির সংবাদমাধ্যম আল-আরাবি আল-জাদিদকে বলেছেন, “আলোচনার টেবিল উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। হামাসের অবস্থান দৃঢ়, আমরা ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করব না যেটির জন্য তারা চাপ দিচ্ছে।”
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, আলোচনায় ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা বারবার জানতে চেয়েছেন, হামাসের সামরিক শাখার দ্বিতীয় শীর্ষ কমান্ডার মারওয়ান ঈসা নিহত হয়েছে কিনা। তবে হামাসের প্রতিনিধিরা বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
হামাসের সূত্রটি প্রশ্ন করেছেন, ইসরায়েল দাবি করে গাজায় কি হচ্ছে তার সবই তারা জানে। তাহলে মারওয়ান ঈসা নিহত হয়েছেন কি না সেটি নিশ্চিত হতে কেন হামাসের প্রতিনিধিদের কাছে তারা জিজ্ঞেস করছে?
এদিকে দোহায় আলোচনা শেষে কাতার ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর বিল বার্নস, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নেয়াসহ অন্যান্যরা। তারা আলোচনার ব্যাপারে উর্ধ্বতনদের অবহিত করবেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল