উম্মতের জন্য যে বিপদের আশংকা করেছেন নবিজি (সা.)
উকবা ইবনে আমের (রা.) বলেন, একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওহুদ যুদ্ধে শহিদ সাহাবিদের জন্য নামাজ আদায় করলেন। তারপর ভাষণ দেওয়ার জন্য মিম্বরে আরোহণ করলেন। যেন তিনি জীবিত ও মৃত সবাইকে বিদায় জানাচ্ছিলেন। ভাষণে তিনি বললেন, আমি তোমাদের আগে হাউজে কাউসারে উপস্থিত হবো। যে হাউজের প্রশস্ততা হবে আয়লা (বর্তমান জর্দানে অবস্থিত সমুদ্র তীরবর্তী একটি প্রাচীন শহর) থেকে জুহফা (বর্তমান সৌদি আরবে লোহিত সাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি শহর) পর্যন্ত। আমি এ ভয় করি না যে তোমরা আমার মৃত্যুর পর শিরকে লিপ্ত হবে। কিন্তু আমি ভয় করি যে, আমার মৃত্যুর পর তোমরা দুনিয়া নিয়ে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিবাদ করবে, যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। ফলে তোমরাও ধ্বংস হয়ে যাবে যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
উকবা (রা.) বলেন, আমি এ খুতবার সময়ই আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শেষবার মিম্বরে দেখেছিলাম। (সহিহ মুসলিম: ২২৯৬)
অন্য একটি বর্ণনায় উকবা ইবনে আমের (রা.) বলেন, একদিন নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বের হয়ে উহুদ যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সাহাবায়ে কেরামের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করলেন। তারপর ফিরে এসে মিম্বরে আরোহণ করে বললেন, আমি তোমাদের জন্য আগ্রগামী ব্যাক্তি, আমি তোমাদের পক্ষে আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দেবো। আল্লাহর কসম, আমি এখানে বসে থেকেই আমার হাউজে কাওসার দেখতে পাচ্ছি। পৃথিবীর ধনভাণ্ডারের চাবি আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমার ওফাতের পর তোমরা মুশরিক হয়ে যাবে এ আশংকা আমার নেই। তবে আমি ভয় করি যে পার্থিব ধন-সম্পদের প্রাচুর্য ও মোহ তোমাদের আত্মকলহে লিপ্ত করবে। (সহিহ বুখারি: ৩৫৯৬)