বিরোধীদের ভোট বর্জন: মাদাগাস্কারে চলছে একতরফা নির্বাচন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিরোধীদের ভোট বর্জনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দেশটিতে চলছে এই নির্বাচন। এছাড়া নির্বাচনকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে দেশটিতে কারফিউও জারি করা হয়েছে।
যদিও নির্বাচনের আগে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন বিরোধী নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে মাদাগাস্কারে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি করেছেন বিরোধীরা। পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে টানা ছয় সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে বিরোধী সমর্থকদের সংঘর্ষও হয়েছে। রাজধানী আন্তানানারিভোর পুলিশ কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেলো রাভেলোনারিভো বলেছেন, ‘ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে ফেলাসহ’ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এদিকে মাদাগাস্কারের বিরোধী নেতারা বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার পক্ষে ‘প্রাতিষ্ঠানিক অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ করেছেন। তারা রাজোয়েলিনাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি করছেন কারণ ২০১৪ সালে তিনি ফরাসি নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাদাগাস্কারে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে ১২ জন বিরোধী প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং ভোটারদের নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া বিরোধী সমর্থকরা পুলিশি দমন-পীড়নের প্রতীক হিসেবে ফুলকপিকে ব্যবহার করছেন।
দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মার্ক রাভালোমাননাও এই নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। ২০০৯ সালে এক অভ্যুত্থানে রাজোয়েলিনার মাধ্যমেই ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবারের এই নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এই নির্বাচন স্থগিত করা না হয়, মাদাগাস্কার একটি বড় সংকটের সম্মুখীন হবে। জনগণ এই ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করবে।’
এছাড়া প্রতিবাদী প্রার্থীদের একজন রোল্যান্ড রাটসিরাকা এএফপির কাছে এই নির্বাচনকে ‘জালিয়াতি’ এবং ‘মাদাগাস্কারের জন্য তামাশার’ নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছেন।