ফের নির্বাচিত হলে মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবেন ট্রাম্প
ফের নির্বাচিত হলে অধিকাংশ মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) নেভাডা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসে একটি রিপাবলিকান ইহুদি সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’ পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রিপাবলিকান ইহুদি জোটের বার্ষিক সম্মেলনে যোগদানকারী শ্রোতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, আমরা কট্টর ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের থেকে আমাদের দেশকে দূরে রাখব। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কথা মনে আছে? প্রথম দিনেই আমি সেই নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনবো।
তিনি আরও বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলাম, কারণ আমি চাইনি যে আমাদের দেশে এমন সব লোক আসুক, যারা সত্যিই আমাদের দেশে বিস্ফোরণ ঘটাতে চায়। ওই নিষেধাজ্ঞা আমার সরকারের একটি ‘আশ্চর্যজনক সাফল্য’ ছিল। ওই চার বছরে আমাদের দেশে এমন একটি ঘটনাও ঘটেনি, কারণ আমরা খারাপ মানুষকে আমাদের দেশ থেকে দূরে রেখেছিলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে গাজার শাসকগোষ্ঠী ও সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থনকারী এবং ইহুদি-বিদ্বেষী যে কোন মার্কিন অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হবে। তাছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় গেলে হামাস সমর্থনকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেন না তিনি।
এমনকি, এ ইসরায়েল-বিরোধীদের জন্য অভিবাসন প্রক্রিয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দেবেন। সেই সঙ্গে, হামাসের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে যে কোন প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশ করলে পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।
২০১৭ সালে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও প্রাথমিকভাবে ইরাক ও সুদান থেকে ভ্রমণকারী প্রবেশের ওপর ব্যাপক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। আদেশটি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ হিসেবে আদালতে চ্যালেঞ্জও করেছিল বিরোধী পক্ষ।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে হোয়াইট হাউজে যোগদানের প্রথম সপ্তাহেই ট্রাম্পের সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র সে সময় বলেছিলেন, বাইডেন তার পূর্বসূরির জারি করা ‘জঘন্য’ নন-আমেরিকান মুসলিমদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে গর্বিত।
সূত্র: এএফপি