সরকারের আচরণ পাকিস্তান আমলের শান্তি কমিটির মতো: নজরুল

0

বর্তমান সরকারের ভূমিকাকে মুক্তিযুদ্ধকালের শান্তি কমিটির আচরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, তারা (সরকার) এখন শান্তি সমাবেশ করছে এবং আচরণ অনেকটা শান্তি কমিটির মতোই।

শুক্রবার  (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায়। সরকার পাকিস্তান আমলের শান্তি কমিটির মতো আচরণ করছে। এভাবে চলতে থাকলে কখন কী হবে বলা মুশকিল।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছি সেগুলো কেমন হচ্ছে, জনগণের মধ্যে কতটা প্রভাব পড়েছে, আন্দোলন কতটা অগ্রসর হয়েছে; এই মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা কী। আমাদের আগামী দিনে কী করণীয়, কী করা উচিত এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের আকাঙ্ক্ষা এক। আমরা এই অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান চাই। সেই লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আমরা এই সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং তার নেতৃত্বে একটা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। তার মধ্য দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবে। এর মধ্যে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আগামী দিনে কী আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল বিভিন্ন জায়গায় যে কর্মসূচি রয়েছে ওখান থেকে নেতৃবৃন্দ সেই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। এছাড়া বিভিন্ন জোট তাদের কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। এরপরে কী হবে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি সেটা আপনারা যথাসময়ে জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, এ সকল জোট এবং দল আমরা যে বিশ্বাস নিয়ে ঐক্য করেছি যে বিশ্বাস নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি আমাদের সেই বিশ্বাসে আমরা অটুট রয়েছি। সেই বিশ্বাস নিয়ে আমরা আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা দল এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, নুরুল আলম, নেয়ামুল বশির, এমএম মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে থেকে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com