নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে: সরকারকে মির্জা আব্বাস

0

নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সরকার তামাশা শুরু করছে। বিএনপি যখন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখন আওয়ামী লীগ শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি করছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, সারা বাংলাদেশ আজকে কারাগারে পরিণত হয়ছে। এই সরকারের কাছে আমরা কিভাবে দাবি জানাব? এরা তো দস্যু, এরা আসছে লুট করতে। পাকিস্তান সরকার এই দেশে অনেক অপশাসন করেছে কিন্তু সম্পদ লুট করে নাই। কিন্তু সরকার দেশের সব সম্পদ লুট করে ডলার করে বিদেশে পাচার করেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কাদের সাহেব আমাদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে নিয়ে কোনো কথা বলতে গেলে দাত ব্রাশ করে নিবেন ও চেহারা আয়নায় দেখে নিবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘কাদের সাহেব সব সময় বলেন, নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। ১৯৯৬ সালে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছি। তাদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্ত করেন। এখন আবার সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্ত করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।’ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা মহানগর উওর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে সরকারের নির্দেশে জামিন দেয়া হচ্ছে না। কারণ রিজভী ২৪ ঘণ্টা সারাদেশে নয়াপল্টন থেকে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকারের একটা উদ্দেশ্য ছিল ১০ তারিখ যাতে ঢাকায় সমাবেশ করতে না পারি। কিন্তু কী লাভ হয়েছে?

দেশের আইন ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এক ব্যক্তির কথায় জেলে বন্দি করেছেন। সরকারের ইচ্ছার ওপরে বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের জামিন নির্ভর করে। আমাদের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সব মামলা সচল করে দিয়েছে। যাতে আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন না করতে পারি।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উওর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু। বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com