ব্রাজিলে গণতন্ত্র রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট রাজধানী ব্রাসিলিয়ার ফেডারেল ভবনগুলো পরিদর্শন করেছেন, যেগুলো তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থকরা রোববার আক্রমণ করেছিল।
লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা রোববার ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পরিদর্শন করেন এবং শহরের ফেডারেল এলাকায় ফেডারেল নিরাপত্তা হস্তক্ষেপের আদেশ দেন। তিনি দাঙ্গাবাজদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ পুলিশকে শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ডিক্রিটি রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করার জন্য সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা দেয় এবং ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।
ব্রাজিলের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর অন্তত ২০০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে যারা রোববার ব্রাসিলিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট, কংগ্রেস এবং প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ভাঙচুর করেছিল।
হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ভবনগুলোতে ঢুকে পড়ে। সরকারি সম্পত্তিতে হামলার ভিডিওতে বিক্ষোভকারীদের জানালা ভেঙে ফেলা, ছাদে ওঠা এবং অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ দেখা যায়। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ভবনগুলোর অভ্যন্তরীণ অংশগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
লুলার অভিষেক হওয়ার আগে বলসেনারো ব্রাজিল ত্যাগ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের ফ্লোরিডা রাজ্যের অরল্যান্ডোতে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন ব্রাজিলের দাঙ্গা ছিল ‘ভয়াবহ’।
বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান টুইটারে পোস্ট করেছেন যে- যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্রাজিলের গণতন্ত্রকে দুর্বল করার যেকোনো প্রচেষ্টার নিন্দা জানায়।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নিরপেক্ষ এবং কার্যকর তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছে যাতে এই রোববার ৮ জানুয়ারির ঘটনার যথাযথ তদন্ত এবং দোষীদেরকে শাস্তি প্রদান করা হয়।’