উচ্চ সতর্কতায় সার্বিয়ার সেনাবাহিনী
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দুই দেশ সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এরমধ্যে সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিলোস বুকেভিক জানিয়েছেন, সার্বিয়ান সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
সীমান্তে গোলাগুলি এবং রাস্তা অবরোধ নিয়ে বালকান অঞ্চলের দুই প্রতিবেশির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
২০০৮ সালে সার্বিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে কসোভো। তবে সার্বিয়া এখনো এ স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়নি। উল্টো কসোভোতে বসবাসরত ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত সার্বিয়ানকে কসোভোর আইন-কানুন না মানতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে দেশটি। কসোভোর উত্তর দিকে জাতিগত সার্বিয়ানদের বসবাস সবচেয়ে বেশি।
চলতি বছরে একাধিকবার বাকযুদ্ধে জড়িয়েছে সার্বিয়া-কসোভো। নভেম্বরে জাতিগত এক সার্বিয়ান পুলিশ অফিসারকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি জাতিগত আলবেনিয়ান অফিসারদের নির্যাতন করেছেন। এ ঘটনার পর কসোভোতে বিক্ষোভ শুরু করেন জাতিগত সার্বিয়ানরা। তারা রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই এখন সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রেখেছে সার্বিয়া।
এ ব্যাপারে সার্বিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিক সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে (যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার অবস্থানে) থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বিশেষ আর্মড ফোর্সের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য এখন চিফ অব জেনারেল স্টাফের কমান্ডের অধীনে চলে আসবেন।
রোববার সার্বিয়ার সেনাপ্রধান মিলান মোজসিলোভিক কসোভো সীমান্তে যান। এরপরই প্রেসিডেন্ট সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেন। রোববার সেনাপ্রধান মোজসিলোভিক বলেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি জটিল।’
সম্প্রতি কসোভো এবং সার্বিয়ার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় মূলত গাড়ির নাম্বার প্লেট নিয়ে। কসোভোতে যেসব জাতিগত সার্বিয়ান বসবাস করেন তারা তাদের গাড়িতে সার্বিয়ার ইস্যু করা নাম্বার প্লেট ব্যবহার করেন। কিন্তু কসোভো এটি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল। এর প্রতিবাদে উত্তর কসোভোর অনেক জাতিগত সার্বিয়ান সরকারি কর্মকর্তা এবং বিচারক পদত্যাগ করেন। এতে সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নভেম্বরে যখন জাতিগত সার্বিয়ান পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন সীমান্তে যান চলাচল বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান