ইলন মাস্ককে সরিয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী আর্নল্ট
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক এখন আর বিশ্বের এক নম্বর ধনী নন।
তাকে ছাড়িয়ে ধনকুবেরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন বিলাসপণ্যের কোম্পানি এলভিএমএইচের সিইও বার্নার্ড আর্নল্ট। খবর বিবিসির।
ইলন মাস্ক ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর অবস্থান ধরে রেখেছিলেন। চলতি বছর টেসলারের শেয়ারের ব্যাপক দরপতনের ফলে তিনি শীর্ষস্থান হারান।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে সরিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছিলেন মাস্ক। তবে কয়েকদিন আগেও কিছু সময়ের জন্য আর্নল্টের কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছিলেন মাস্ক।
ফোর্বস ও ব্লুমবার্গ উভয়ের র্যাংকিং অনুযায়ী-বর্তমানে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। আর আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। মাস্ক টেসলারের সবচেয়ে বেশি শেয়ারধারী। তার শেয়ারের পরিমাণ ১৪ শতাংশ। চলতি বছরের শুরুতে টুইটারের শেয়ার কেনার পর কোম্পানিটিই কিনে নিতে এপ্রিলে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার প্রস্তাব করেন মাস্ক। অনেকেই মনে করেছিলেন প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণটা অনেক বেশি ছিল। প্ল্যাটফর্মটিতে ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে জুলাইতে মাস্ক চুক্তি থেকে সরে আসেন। শেষ পর্যন্ত মাস্কের প্রস্তাব বহাল রাখতে আইনি ব্যবস্থা নেন টুইটারের নির্বাহীরা। অক্টোবরে মাস্ক ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নেন। টেসলার শেয়ারের দরপতনের অন্যতম কারণ হিসাবে টুইটার কেনা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তিকে উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
বিনিয়োগ সংস্থা ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের ড্যান ইভেস বলেন, টুইটার কেনার চুক্তিকে ঘিরে যেন ‘সার্কাসের’ প্রভাব টেসলার শেয়ারের দামের ওপর পড়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি টুইটে আসন্ন বিপদের ঘনঘটা দেখা দেওয়ায় ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীদের চোখে মাস্ক টেসলার শেয়ারের সুপারহিরো থেকে খলনায়কে পরিণত হন। ড্যান বলেন, টুইটার সার্কাস শো মাস্ক ব্র্যান্ডকে আঘাত করেছে এবং এটি টেসলার শেয়ারের জন্য একটি বড় আসন্ন বিপদেরই আভাস। মাস্কই টেসলা, টেসলাই মাস্ক।
টুইটার কেনার তহবিল জোগাড় করতে গিয়ে মাস্ক টেসলার কয়েকশ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দেন। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম পড়ে যায়। এ ছাড়া অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকায় কোম্পানিটির বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার চাহিদা কমতে পারে বলেও শঙ্কা ছিল বিনিয়োগকারীদের। পাশাপাশি ঋণের পেছনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা নিরুৎসাহিত হন এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা অন্য কোম্পানিগুলোও ছাড়ের পরিমাণ বাড়ায়।