ভ্লাদিমির পুতিনের বান্ধবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা
রুশ প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গ্রেট ব্রিটেন সরকার তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের এই বান্ধবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
কাবায়েভার সাথে পুতিনের সম্পর্কের বিষয়টি দীর্ঘ দিন ধরে অস্বীকার করে আসছে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন। এ সম্পর্কিত একটি পত্রিকার খবরের প্রতিক্রিয়ায় পুতিন বলেছিলেন, ‘আমি সবসময় তাদের অপছন্দ করে আসছি, যারা অন্যের বিষয়ে নাক গলায় এবং মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে।’
এদিকে গ্রেট ব্রিটেন সরকার বলছে, রাশিয়ার সরকারি তথ্যে দেখা গেছে পুতিন মূল্যবান সম্পদের মালিক। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে সেন্ট পিটাসবার্গের একটি ছোট ফ্ল্যাট, ১৯৫০ দশকের সোভিয়েত আমলের দুটি প্রাইভেটকার এবং একটি ছোট গ্যারেজ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ দেয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ১৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অলিগার্চসহ রাশিয়ার ১ হাজারের বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং শতাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে গ্রেট ব্রিটেন।
আবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তদন্তে দেখা যায়, কাবায়েভা পুতিনের প্রভাব এবং ব্যক্তিগত সম্পদের সুবিধা ভোগ করছেন। কাবায়েভা সেই সম্পদের কিছু অংশ বিদেশে লুকিয়ে রেখেছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পরপরই গত ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জো বাইডেন প্রশাসন। আর এপ্রিলের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো পুতিনের প্রাপ্তবয়স্ক দুই সন্তান মারিয়া ভোরোনৎসোভা এবং ক্যাটেরিনা তিখোনোভার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
কিন্তু পুতিনের সাথে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের গুঞ্জন থাকলেও অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী জিমন্যাস্ট কাবায়েভার বিরুদ্ধে এত দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। রাশিয়ান কিছু সংবাদপত্র তাকে দেশের ‘সিক্রেট ফার্স্ট লেডি’ বলে অভিহিত করে।