গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে
গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ২৩ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ২০ সে.মি. কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণে গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার নদীবেষ্টিত ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। তলিয়ে যায় ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, জেলায় সব নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। তবে বন্যার পানি সম্পূর্ণ নেমে না যাওয়া পর্যন্ত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে না। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৩টি ইউনিয়নে ৯৬টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ২১ হাজার ৮৩৪টি পরিবারের ৪৭ হাজার ৪৬৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।