ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম’লে আ.লীগের উদ্দেশ্যে রিজভী
রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে আওয়ামী লীগ এখন দুর্নীতি, লুটেরা, টাকা পাচারকারী মাফিয়া চক্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যাচার করাই এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি। জনগণ বিশ্বাস করে, বর্তমানে আওয়ামী লীগের মূলনীতি, অর্থপাচার আর দুর্নীতি।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ করে যারা লক্ষ-লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, তাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানানোর পর জনগণ আশা করেছিল, আওয়ামী লীগ হয়েতো তাদের লুটেরা চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার সংকল্প নিয়েছে। কিন্তু কথায়ে বলে, ইল্লত যায় না ধুলে, খাসলত যায় না ম’লে। আওয়ামী মন্ত্রী-নেতারাও খাসলত কখনোই পরিবর্তীত হবে না, কারণ এরা স্বৈরাতন্ত্রের তল্পীবাহক। ওবায়দুল কাদেরদের টিকে থাকার একমাত্র উপায় নতুন নতুন মিথ্যা উৎপাদন করা। আর এই মিথ্যার রাজনীতিতে বিপন্ন হয়ে পড়েছে রাষ্ট্র ও সমাজ। খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা জাতিকে।
বুধবার (১৮ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন বাসায় বসে একটি ল্যাপটপ সামনে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের নামে নাটুকে ভঙ্গীতে পূথি পাঠ করেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব মিথ্যার মহারাজা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ঘুরে ফিরে বিষয় একটাই-বিএনপির বিরুদ্ধে আজগুবি, অসংলগ্ন, কল্পিত সব মিথ্যাচার ও কুৎসা উদগীরণ করা। গত রবিবার দেখলাম স্বীয় বাসভবনে বসে ওবায়দুল কাদের সাহেব অভিযোগ করছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নাকি দেশের টাকা বিদেশে পাচারের তালিকার শীর্ষে। হঠাৎ করেই কেন এমন আজগুবি, উদ্ভট ও হাস্যকর অভিযোগ করলেন ?
এর কারণটা হলো, ১২ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ঘরে বসে দেয়া ভাষনে নিজেই স্বীকার করেন যে, আওয়ামী লীগের নেতারা কোটি-কোটি টাকা পাচার করেছে। তার দলে টাকা পাচারকারী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসি, দুর্নীতিবাজসহ অপকর্মের সঙ্গে যুক্তদের প্রাধান্য চলছে। আর যারা এই পাচারকারী-অপকর্মকারী তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেয়া হবে না।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘নিরেট সত্য মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়ায় নিজ দলের টাকা পাচারকারী মাফিয়াদের সাঁড়াশি আক্রমণে ভড়কে গিয়ে তার দু’দিন পর, ১৫ মে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের নিজের গদি রক্ষা আর পিঠ বাঁচাতে পরিস্থিতি ভিন্নখাতে নিতে চিরাচরিত অভ্যাসনুযায়ী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একেবারে ডাহা মিথ্যার রূপ কথা সাজিয়েছেন। যদিও মিথ্যাচার করা তার মজ্জাগত। এটি সংঘবদ্ধ, জঘন্য অপপ্রচারের অংশ। নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের নেতা-মন্ত্রীদের মূলমন্ত্র হলো- ‘মিথ্যা বলি, মিথ্যা বেচি, মিথ্যাই পুঁজি।’ অতি চালাকি ও অতি লোভের কারণে তাদের মিথ্যার রাজনীতিকে পল্লবীত করতে হয়।
তিনি বলেন, ‘এর আগে দেখেছেন, নিশিরাতের সরকারের দুই মন্ত্রীর ফাঁস হওয়া টেলিফোন কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের টেন্ডারবাজির খবর প্রকাশ হয়ে পড়েছিল। নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে নিজেদের টেন্ডারবাজ চরিত্র আড়াল করতে হঠাৎ করেই টেন্ডারবাজ উপদেষ্টা টাটা কোম্পানির বিনিয়োগ নিয়ে এক আজগুবি অভিযোগের আষাঢ়ে গল্প শুনিয়েছেন।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশ-বিদেশের সকলেই অবগত যে, এই নিশিরাতের আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিটি নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপি স্বজন-পরিজন-লুটপাট, টাকা পাচার, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস, দুর্নীতি অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় স্বজন এবং আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী কিংবা তাদের নেতাদের কিংবা প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গত একদশকে দেশ থেকে ১১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি পাচার করে দিয়েছে। সম্প্রতি ফরিদপুরে নিশিরাতের সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয় তথা তার বেয়াইয়ের সহদর ভাই দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের দায়ে ধরা পড়ছে। এর আগে ফরিদপুর ছাত্রলীগের দুই নেতাও আরো দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ধরা পড়েছে। টাকা পাচারের সঙ্গে শুধু শেখ হাসিনার আত্মীয়ই নয়, নোয়াখালীর বসুরহাটের মেয়র গত বছরের ১৬ এপ্রিল প্রকাশ্যে বলেছেন, হাজার-হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের সঙ্গে কে এবং কার স্ত্রী জড়িত সে কথা দেশবাসী নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি। এভাবে আওয়ামী লীগের টপ-টু-বটম প্রায় সকল নেতাকর্মীই দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত।
প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় আওয়ামীলীগ ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের হাজার-হাজার কোটি টাকা পাচারকারী একেকজন আওয়ামী নেতার ছবি প্রকাশিত হচ্ছে।
আওয়ামী নেতাদের টাকা পাচারের কাহিনী সিন্দাবাদের কাহিনীকেও হার মানায় মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘জনগণের অর্থকে কিভাবে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠি লোপাট করেছে তার নতুন নতুন লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই সমস্ত অজানা লুটপাটের কাহিনী বেরিয়ে আসতে শুরু করায় আওয়ামী সরকার এখন দিশেহারা। সেজন্যই আকষ্মিকভাবে জিয়া পরিবার ও বিএনপি’র বিরুদ্ধে বানোয়াট কাহিনী প্রচার করে নিজেদের চেহারাকে আড়াল করতে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এই লুটেরা সরকার আর আরামে-আয়েশে টু পাইস কামাতে গিয়ে সবচাইতে বড় বাধা মনে করছে দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমানকে। তাই তাঁর বিরুদ্ধে হিংসাশ্রয়ী অপপ্রচার।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে যুক্তরাস্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। প্রতি বছর দূর্নীতির অর্জিত অর্থ নির্বিঘেœ পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ডসহ ১০টি দেশে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, পাচারকৃত টাকার পরিমাণ বিবেচনায় এশিয়ায় পাচারকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।পাচারকারীদের তথ্যের সুলুকসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আলাদাভাবে তিন সদস্য ও চার সদস্যর দুটি অনুসন্ধান দল গঠন করলেও তাদের কাজের অগ্রগতি নেই। কারণ এই পাচারকারীদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিক জানেন, এই সরকারের আমলে প্রকল্প মানেই মহা দুর্নীতি। যেই সরকারের আমলে সুঁই-সুতা-কিংবা কাঁথা- বালিশ কিনতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয় তাদের আমলে পদ্মা সেতু করার নামে হাজার-হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ দশ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সড়ক সেতু নির্মাণের নানা অজুহাতে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। গর্ব করে বলা হয়েছিল নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হচ্ছে। অর্থাৎ জনগণের টাকায় পদ্মা সেতু করা হচ্ছে। মোবাইল ফোনের কলরেট থেকেও সরকার টাকা নিচ্ছে।
“গতকাল দেখলাম পর্বত প্রমাণ টোল হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এখন জনগণের পকেট কেটে জোর করে টাকা নিয়ে সেতু বানিয়ে সেই সেতু পারাপারের জন্য আবার দীর্ঘকাল জনগণের পকেট কাটা চলতে থাকবে। কেবল পদ্মাসেতু নয় ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ প্রতিটি মেগা প্রজেক্টে হরিলুট হচ্ছে। আর দেশ ধাবিত হচ্ছে শ্রীলংকার মতো দেউলিয়াত্ব পরিস্খিতির দিকে। সরকার স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে নির্দয়ভাবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন জনগণ প্রতিটি পয়সার কড়ায় গন্ডায় হিসেবে নেবে। জনগণ জানতে চায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে ডিজিটাল দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করা আটশো দশ কোটি টাকা এখনো কেন ফেরত আনা যায়নি? আটশো দশ কোটি টাকা লোপাট করার খবরটি কেন ২৮ দিন পর্যন্ত দেশের জনগণকে জানতে দেয়া হয়নি? কেন টাকা লোপাটের তথ্য জনগণের কাছ থেকে গোপন করতে চেয়েছিলো? জনগণ জানতে চায়, কভিড নাইন্টিনকালে ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির ২৩ হাজার কোটি টাকা কোথায় গিয়েছে? এই হাজার-হাজার কোটি টাকা গেছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের পকেটে।
যারা লক্ষ-লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে, টাকা পাচার করেছে, ক্ষমতার লোভে হাজার-হাজার মানুষকে গুম খুন অপহরণ করেছে, দুই চার বছর মন্ত্রী থাকার জন্য তাদের মুখে প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার নির্লজ্জ কুৎসা রটনা ছাড়া আর কিছুই নয়।”
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং ওবায়দুল কাদেরের পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতি এবং টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত এটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এবার ব্যাপকভাবে দুদক কেন তাদের দুর্নীতি এবং টাকাপাচারেরের তদন্ত শুরু করছে না, আর এ কারণেই আগামী দিনে দুর্নীতিবাজ আর টাকা পাচারকারীদের সহযোগী হিসেবে দুদককে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ আওয়ামী সরকার মৃত্যুঞ্জয়ী নয়, এদের পতন আসন্ন।
তিনি বলেন, ‘চারদিকে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আর্থিক খাত পঙ্গু হয়ে গেছে। দেশ চালানোর মত অর্থ ফুরিয়ে আসছে। ডলারের রেট প্রতিদিন বাড়ছে। দেশে খোলা মুদ্রাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম প্রথমবারের মতো শত টাকা ছাড়িয়ে গেছে। খোলা বাজারে ১ ডলার ১০২ টাকায় কেনা এবং ১০৩.৫৯ টাকায় বেচা হচ্ছে।, তেল মজুদের মতো ডলার নিয়েও খেলা শুরু করে দিয়েছে সরকারের সিন্ডিকেট।
দেশের টাকার মানের অব্যাহত পতনে আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন মানুষ। অর্থনীতি বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটা খাতেই ধ্বস নামবে। নিত্যপন্যের নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধি হবে, মোট জাতীয় সঞ্চয় কমে আসবে। বৈদেশিক রিজার্ব কমে যাবে। তৈরী পোষাক খাত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাতে বাংলাদেশ দেউলিয়ার পর্যায়ে চলে যাবে।
“গত ১২ মে পর্যন্ত ডলারের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫.১১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। তবে আগের বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রায় ১৭% কমে যাওয়া এবং উচ্চ আমদানি প্রবৃদ্ধির কারণে ডলারের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। বেশি দামে ডলার কিনে পণ্য আমদানি করায় সবশ্রেণীর পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পণ্যের মূল্যের ওপর। আবার এখন যে পণ্য বাড়তি মুল্যে আমদানি করা হচ্ছে তার প্রভাব সামনের মাস ও পরের মাসে পড়বে। ফলে মূল্যস্ফীতি আরো বেড়ে যাবে এটাই আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। গত ৮ মাসে রিজার্ভের ৪৮ বিলিয়ন ডলারের যে হিসাব দিচ্ছে সরকার তা ৪২ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেছে। পরের ২ মাসে এটা আরও ৪ বিলিয়ন ডলার কমে যাবে। আমাদের আমদানি-রপ্তানির বানিজ্য ঘাটতি দ্রুত বাড়ছে। রেমিট্যান্স কমছে। রিজার্ভ বিপজ্জনক লেভেলে চলে আসছে। বাংলাদেশের ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ৫০ শতাংশের উপরে চলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র লুটপাটের জন্য তুঘলকি মেগা প্রকল্প আর ইচ্ছেমত বৈদেশিক ঋনের ফাঁদেই এই বিনা ভোটের গণশত্রু শেখ হাসিনার সরকার দেশকে দেউলিয়া করে শ্রীলঙ্কার পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।”
রিজভী আরও বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের বিপজ্জণক বিদ্রোহের মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। অটলভাবে একত্রিত হয়ে জনগণের একটা জাতীয় বিষ্ফোরণ হতে যাচ্ছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অপ্রতিরোধ্য গণদাবীকে বিজয়ের পথে চালিত করতে জনগণ এখন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকস, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।