ইউক্রেনে আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরু রাশিয়া। রুশ আক্রমন মোকাবিলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আরও ১৫০ মিলিয়ন বা ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৬ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন এই সহায়তা প্যাকেজটিতে স্বাক্ষর করেন। শনিবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সহায়তা করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের অধীনে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে আরও বেশি কামানের গোলাবারুদ, রাডার ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠাবে বাইডেন প্রশাসন।
পরে এক বিবৃততে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘চলমান রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষায় লড়াই করছেন সাহসী ইউক্রেনীয়রা। আর তাই ইউক্রেনের সাহসী এই জনগণের জন্য শক্তিশালী সমর্থন অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের পাঠানো এই অস্ত্রের মধ্যে হাউইৎজার, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট স্টিংগার সিস্টেম, অ্যান্টি-ট্যাংক জ্যাভলিন মিসাইল, গোলাবারুদ এবং সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ঘোস্ট’ বা ভৌতিক ড্রোনও রয়েছে।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে পাঠাতে যাওয়া ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই অস্ত্র সহায়তার মধ্যে ১৫৫ মিমির ২৫ হাজার আর্টিলারি রাউন্ড, কাউন্টার-আর্টিলারি রাডার, জ্যামিং সরঞ্জাম, ফিল্ড সরঞ্জাম এবং খুচরা যন্ত্রাংশ রয়েছে।
এর আগে গত এপ্রিলের শেষের দিকে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে আরও ৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিপুল পরিমাণ এই অর্থ দিয়ে ইউক্রেনকে সামরিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা দেওয়ার ইচ্ছার কথাও সেসময় জানিয়েছিলেন তিনি।
বাইডেনের সেই প্রস্তাবে ২ হাজার কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা, ৮৫০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা এবং ৩০০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত ছিল।