রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ রয়েছে: অ্যামনেস্টি
রুশ সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী শহরগুলো দখলের সময় তারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। এছাড়া রুশ সেনাদের নানা অত্যাচারের শিকার হয়েছে সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।
কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলন করে রিপোর্টটি প্রকাশ করেন অ্যামনেস্টির সিনিয়র ক্রাইসিস এডভাইজার ডনাটেলা রোভেরা। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, আমরা যেসব প্রমাণ পেয়েছি তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রুশ সেনারা যেই গ্রাম বা শহরই দখল করেছে, একই প্যাটার্নে নির্যাতন চলেছে। আমরা যেসব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছি তা দিয়ে পরবর্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তির মুখোমুখি করা যাবে। আজ সম্ভব না হলেও, ভবিষ্যতে কোনো একদিন অবশ্যই হবে।
যদিও রাশিয়া প্রথম থেকেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি তারা শুধু সামরিক স্থাপনা টার্গেট করেই হামলা চালাচ্ছে।
এ জাতীয় অভিযোগকে পশ্চিমাদের প্রোপ্যাগান্ডা যুদ্ধের অংশ বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। তবে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, রুশ সেনারা প্রায় ৯ হাজার যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
অ্যামনেস্টির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা বুচা শহরে অনেক মানুষকে বে-আইনিভাবে হত্যা করেছে। এসব ঘটনা ঘটেছে মূলত ইয়াবলুনস্কা এবং ভদোপ্রোভিন্দা নামের দুটি রাস্তার কাছে। এরকম মোট ২২টি কেস নিয়ে কাজ করছে মানবাধিকার সংস্থাটি। আকাশ থেকে চালানো রুশ হামলায় ৪০ বেসামরিক নিহতের অভিযোগও তদন্ত করছে তারা। এর আগে বুচা হত্যা নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের কাছে প্রশ্ন তুলেছিল রয়টার্স। তখন পেসকভ জানিয়েছিলেন, বুচার কাহিনী পুরোটাই সাজানো এবং মিথ্যা।