বিএনপিতে কর্মির চেয়ে সমর্থক কেন বেশি??

0

জিয়াউর রহমানে দল বিএনপিতে কর্মির চেয়ে সমর্থক কেন বেশি তার কিছু কথা এবং কারন তুলে ধরলাম।

শহীদ জিয়া একটি নাম নয়, শহীদ জিয়া দুইটি শব্দ নয়, শহীদ জিয়া একটি আদর্শ, শহীদ জিয়া একটি চেতনা।
শহীদ জিয়া একটি প্রতিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতিক, বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতিক। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর প্রতিক, অভিবক্ত পাকিস্তানে পাশ্চিমাদের শোষণে ততকালিন পূর্ব পাকিস্তানিরা যখন আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক ভাবে বিপর্যস্ত। তখন হাতেগুনা যেকজন কৃতি সন্তান দেশমাতৃকা কে তাদের কর্ম গুনে গৌরবান্বিত করেছিলেন তাদের মধ্য জিয়াউর রহমান অন্যতম।

১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ভারত যুদ্ধে অসম বীরত্বে জন্য তিনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব অর্জন করে তরুণ জিয়া হয়ে উঠেন মেজর জিয়া। হয়ে উঠেন ততকালিন পাকিস্তান সেনা বাহীনি তে বাঙ্গালী অফিসার দের উৎকর্ষ অনুপ্রেরণা ও সফলতার প্রতিক। ১৯৭১ সালের মার্চ রক্তপিপাসু পাক হানাদার বাহীনি যখন নিরস্ত্র বাঙ্গালীর উপর জাপিয়ে পড়ে, বাঙ্গালী জাতী যখন বর্বরোচিত ও নজিরবিহীন হামলা ও রাজনৈতিক দিক নির্দেশনার অভাবে কিং কর্তব্য বিমুঢ়। ঠিক তখন জাতীর ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘঠে মেজর জিয়ার। এ এমন এক সময় যখন ঢাকার অদূরদর্শী রাজনৈতিক নেতৃত্ব পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের ব্যপক ও অস্বাভাবিক সমাবেশ ঢেকে এর নেপত্বের ভয়াবহতা অনুধাবন না করে সর্বাত্মক সংগ্রামের আহ্বান করে।

অথচ, জনগন কে সেই সংগ্রামের কৌশল ও দিক নির্দেশনা দেয়নি, এ এমন এক সময় যখন দেশজুড়ে মানুষ শোষণকারীদের পরাধীনতা থেকে মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই কিন্তু সেই স্বাধীনতার ডাক কেউ দেয়নি।
রাজনৈতিক এই চরম সিদ্ধান্ত হীনতা আর অদুরদর্শীতার সুযোগ নিয়ে ঘটে যায় ২৫ মার্চের কালো এক ভয়াল হত্যাযজ্ঞ। অথচ, সেই রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে যায় সম্পুর্ণ অক্ষত। কিন্তু ক্ষত বিক্ষত করা হয় সাধারন মানুষকে, শহরে শহরে পথে পথে ঘরে ঘরে।
রাজারভাগের পুলিশ লাইন থেকে পিলখানার ইপিআর, ঘুমন্ত নাগরিক থেকে শান্ত পথচারি। সৌম্য ছাত্র থেকে বুদ্ধি দীপ্ত শিক্ষক, কেউ বাদ যায়না সেই হত্যাযজ্ঞ থেকে একদিকে সংক্ষুবদ্ধ স্বাধীনচেতা মানুষের মুক্তির কামনা।

অন্যদিকে রাজনৈতিক নেত্রীত্বের বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্তহীনতা আর ২৫ শে মার্চের সেই রক্তাক্ত কালো রাত্রি এরি সন্ধিক্ষণে ২৬ শে মার্চ। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ভেসে আসে একটি শান্ত ও দৃঢ়কন্ঠ, ঐ কণ্ঠের একটি ডাক যেন মেয়মান হয়ে পড়া জাতীকে উদ্ধৃপ্ত, উজ্জীবিত ও আশান্বিত করে তুলে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সেই ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান প্রথম বিদ্রোহী বাঙ্গালী অফিসার হয়ে অস্ত্র তুলে নিয়ে পশ্চিমা অফিসার দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। বজ্র কন্ঠে ঘোষণা দেন মা মাঠি ও মানুষের স্বাধীনতার, দেশের স্বাধীনতার।

“This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the directive of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, hereby declare that the independent People’s Republic of Bangladesh has been established…. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bangalees to rise against the attack by the West Pakistan army. We shall fight to the last to free our motherland. By the grace of Allah, victory would be ours. Joy Bangla.”

জিয়াউর রহমানের এই স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যদিয়ে দেশে বিদেশে সর্বতোভাবে ছড়িয়ে পড়ে লড়ায়ের কথা, যে লড়াই আদর্শ ছিল পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য। যে লড়ায়ের আহবান শুনতে উন্মুখ হয়েছিলো এদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষ। কোন রাজনৈতিক নেতৃত্ব না নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু না হয়ে। রাষ্ট্র যন্ত্র ও প্রশাসনের সঙ্গে আপোষ না করে কিংবা গণমাধ্যম ধারা পরিবেষ্টিত না থেকেও, অসীম সাহসীকতার মাধ্যমে কেবল মাত্র একটি রেডিও স্টেশনের সহায়তা নিয়ে অকুণ্ঠ চিত্তে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন মেজর জিয়া।

তার কোন পদপদবী বা নেতা কর্মির প্রয়োজন হয়নি। তার দফায় দফায় ইয়াহিয়া ভুট্টোদের সাথে আলোচনা পর্যালোচনায় বসতে হয়নি। মানুষের বিশ্বাস অর্জনের স্বার্থে উপর্যুপরি বক্তব্য দিতে হয়নি। মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণা হতাশায় নিমর্জ্জিত জাতীকে দিক নির্দেশনা দেয়। দেখায় আশার আলো, সংগ্রাম ও স্বাধীনতা পথ দেখায়। তার উদ্দীপনায় দেশের আপামর কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র জনতা, পুলিশ সেনা সদস্য কাদে কাদ মিলিয়ে যুদ্ধ শুরু করে।
এবং দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মেজর জিয়ার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

এই মেজর জিয়ার হাতে গড়া দল, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’
আর সেই মেজর জিয়ার কিছু অসামান্য অবদান যেমন।
১/ মানবসম্পদ রপ্তানির সূচনাঃ- ১৯৭৬ সালে মেজর শহীদ প্রেসিডেন্ট ৬০৮৭ জন বাংলাদেশী কুয়েতে যান এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ শুরু হয়। যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেই চলছে।

২/ একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক প্রচলনঃ- ১৯৭৬ সালে মেজর জিয়ার সদিচ্ছায় একুশে পদক দেওয়া হয়, ১৯৭৭ সাল থেকে দেওয়া শুরু হয় স্বাধীনতা পদক।

৩/ বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তনঃ- ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব সরকার বাকশাল বাদে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। যার ফলশ্রুতি তে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সুযোগ পেয়ে পুনরায় বাকশাল গঠন করতেছে।

৪/ কলকারখানা বেসরকারিকরণঃ- আঃ লীগের হাতে ধ্বংসপ্রায় কারখানা গুলো কে বেসরকারিকরণ করেন মেজর জিয়া।

৫/ তৈরী পোষক শিল্পের প্রতিষ্ঠাঃ- জিয়ার প্রচেষ্টায় দঃ-কোরিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশী উদ্যোক্তা নুরুল কাদের খান…১৯৭৭ সালে গড়ে তোলেন দেশের প্রথম তৈরী পোশাক রপ্তানি কারখানা দেশ গার্মেন্টস। যার ফলশ্রুতি তে বাংলাদেশ তৈরী পোষাক রপ্তানি করে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করতেছে, দেশের মহিলা দের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

আর দেশের প্রতি শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের এসব অসামান্য অবদানের কারনে মেজর জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল। ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির’ কর্মির চেয়ে ও জন সমর্থক বেশি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com