রানা প্লাজা ট্রাজেডির ৯ বছর আজ
দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ ভবন ধসের ঘটনা ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ৯ তলার একটি ভবনের পুরোটাই ধসে পড়েছিল। এ ঘটনায় ইট-কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ১ হাজার ১৪৫ জন শ্রমিক। এ ছাড়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত হয়ে ও পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক মানুষ।
ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে আজ রবিবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য, আহত শ্রমিকরা, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণ। নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। পরে সেখানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে অস্থায়ী বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ‘আমরা তোমাদের ভুলবো না; দোষীদের ছাড়বো না’ শ্লোগান নিয়ে সংগঠনটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, সরকার ও মালিকরা রানা প্লাজার ঘটনাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চাইছে। বাংলাদেশের ইতিহাস পোশাক শ্রমিকদের আত্মদানকে অস্বীকার করে সম্পূর্ণ হতে পারে না। তাদের অবদানকে স্বীকার করতে হবে। আজ করোনাকালে সবাই যখন ঘরে থাকছে শ্রমিকরা অর্থনৈতিক যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি নাই।
আলোচিত ওই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ৯ বছর চলে গেলেও কেউ তাদের খোঁজ রাখেনি। তাই বিচার ও কর্মহীনতার আক্ষেপ নিয়ে আজও জীবনযুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তারা।