লাইলাতুল কদর পাওয়ার প্রত্যাশা ও উপায়

0

মুমিনের সৌভাগ্যের মাস রমজান। দেখতে দেখতে রহমত ও মাগফেরাতের দশক বিদায় নিয়েছে। শুরু হবে লাইলাতুল কদর পাওয়ার প্রচেষ্টা। কারণ মুমিন রোজাদারের চূড়ান্ত চাওয়া ‘লাইলাতুল কদর’ পাওয়া।  আর সব মুমিনের চাওয়া ও প্রত্যাশা হলো এ দশকেই নাজাত পাওয়া এবং লাইলাতুল পাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। কিন্তু লাইলাতুর কদর পেতে মুমিনের প্রত্যাশা কী?

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল কদর পাওয়ার প্রত্যাশায় প্রচুর ইবাদত-বন্দেগি করতেন। নবিজীর পরিবার ও সঙ্গীদের বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করতে বলতেন। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা প্রমাণিত। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘রমজানের শেষ দশকে প্রবেশ করলে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শক্ত করে কোমরে কাপড় বেঁধে নিতেন অর্থাৎ ইবাদত-বন্দেগিতে খুবই তৎপর হতেন এবং রাতগুলো ইবাদতের মাধ্যমে জীবিত করতেন। সঙ্গে সঙ্গে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার পরিবার পরিজনকেও ইবাদতের জন্য জাগাতেন।’ (বুখারি)

লাইলাতুল কদর তালাশ

হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমরা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে রমজানের মধ্যম দশকে ইতেকাফ করি। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হয়ে আমাদের সম্বোধন করে বললেন, ‘আমাকে লাইলাতুল কদরের সঠিক তারিখ দেখানো হয়েছিল; পরে আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতে তার সন্ধান কর। আমি দেখতে পেয়েছি যে, আমি (ঐ রাতে) কাদা-পানিতে সেজদা করছি। অতএব যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ইতেকাফ করেছে সে যেন ফিরে আসে (মসজিদ হতে বের হয়ে না যায়)। আমরা সকলে ফিরে আসলাম (থেকে গেলাম)। আমরা আকাশে হাল্কা মেঘ খন্ডও দেখতে পাইনি। পরে মেঘ দেখা দিল ও এমন জোরে বৃষ্টি হলো যে, খেজুরের শাখায় তৈরি মসজিদের ছাদ দিয়ে পানি ঝরতে লাগল। নামাজ শুরু করা হলে আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাদা-পানিতে সিজদা করতে দেখলাম। পরে তাঁর কপালে আমি কাদার চিহ্ন দেখতে পাই।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হজরত আবু সালামা ইবনে রহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমরা লাইলাতুল কদর সম্পর্কে আলোচনা করলাম, এরপর আমি আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে যাই, তিনি আমার একান্ত বন্ধু ছিলেন। আমি তাকে বললাম, চলুন না খেজুর বাগানে যাই? তিনি বের হলেন, তার শরীরের কালো উলের চাদর। আমি তাকে বললাম, আপনি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বলতে শুনেছেন?

তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে রমজানের মধ্য দশক ইতেকাফ করলাম। তিনি একুশের (২০ রমজান দিবাগত রাত অতিবাহিত করে) সকালে বের হয়ে আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবাহ দিলেন। তিনি বললেন-

আমি লাইলাতুল কদর দেখেছি; কিন্তু আমি তা ভুলে গেছি বা আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা তা শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমাকে দেখানো হয়েছে; আমি মাটি ও পানিতে সেজদা করেছি। যে নবিজীর সঙ্গে ইতেকাফ করেছিল সে যেন ফিরে আসে।’

তিনি বলেন আমরা ফিরে গেলাম। কিন্তু আসমানে কোনো মেঘ দেখিনি। তিনি বলেন, মেঘ এলো ও আমাদের ওপর বর্ষিত হলো; মসজিদের ছাদ টপকে বৃষ্টির পানি পড়লো; যা ছিল খেজুর পাতার। নামাজ কায়েম হলো; আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখলাম পানি ও মাটিতে সেজদা করছেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর (নবিজীর) কপালে পর্যন্ত মাটির দাগ দেখেছি।’ (বুখারি ও মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিসে লাইলাতুল কদরের রাতের নিদর্শন উল্লেখ করা হয়েছে আবার তা শেষ দশকের প্রথম বেজোড় রাতের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ রোজাদার যেদিন ইতেকাফের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাবে সেই প্রথম রাত। ২০ রমজান ইফতারের আগে মসজিদে উপস্থিত হওয়ার পর প্রথম রাত।

মনে রাখতে হবে

রমজানের শেষ দশকের একটি রাত হবে ‘লাইলাতুল কদর’। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এ ‘লাইলাতুল কদর’ তালাশে বেজোড় রাতগুলো ইবাদতের মাধ্যমে জাগিয়ে রাখতেন।

আর একজন মুমিনের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার হলো- লাইলাতুল কদর পাওয়া। মুমিন মুসলমানের জন্য সারা জীবন কঠোর সাধনা, ত্যাগ ও তিতিক্ষার মাধ্যমে কোরআনে ঘোষিত রাতটি পাওয়াই সেরা সাফল্য। এ রাতটি পেতে সহজ কিছু উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। তাহলো-

১. শেষ দশকের প্রত্যেক রাত ১০টার পর ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত হওয়া। টিভি ও মোবাইল থেকে নিজেদের বিরত রাখা।

২. গরম বা প্রাকৃতিক সমস্যার কারণে অশান্তি লাগলে, প্রশান্তির জন্য প্রয়োজনে গোসল ও অজু করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরে ইবাদতের জন্য নিজেদের তৈরি করা।

৩. কোরআন পড়তে পারলে তারাবির পর রাত ১২ টার পর্যন্ত কোরআন তেলাওয়াত করা এবং তাহাজ্জুদ পড়া।

৪. রাত ১২ টার পর তাহাজ্জুদ ও সালাতুল হাজতসহ বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া।

৫. তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজ পড়ার পর নিয়মিত জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফার করা। তা হতে পারে এমন-

জিকির : سُبْحَانَ الله : সুবহানাল্লাহ; اَلْحَمْدُ لِله : আলহামদুলিল্লাহ; اَلله اَكْبَر : আল্লহু আকবার- ১০০ বার পড়া।

তাহলিল : لَا اِلَهَ اِلَّا الله : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- ২০০ বার পড়া।

তাওবা-ইসতেগফার পড়া

বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। সাইয়্যেদুল ইসতেগফারসহ কয়েকটি তুলে ধরা হলো-

أَستَغْفِرُ اللهَ

উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।’ (মিশকাত)

أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘

অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।

নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।’ (বুখারি)

رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ : রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।

অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’

নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

উচ্চারণ : আস্‌তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।

অর্থ : ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’

নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)

সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’

নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি)

বেশি বেশি দুরূদ পড়া।

তাসবিহ : سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহি- (কমপক্ষে ১০০ বার পড়া)

৬. রুকু ও সেজদায় বেশি সময় ব্যয় করা।

৭. তাহাজ্জুদ ও নফল নামাজের পর শেষ রাতে বিতরের নামাজ পড়া।

৮. সেহরি খাওয়ার আগে আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরা। ক্ষমা-প্রার্থনা করা।

৯. শেষ রাতে সেহরি খাওয়া এবং

১০. জামাতে ফজরের নামাজ পড়া।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল কদর-এর নির্দিষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। শুধু রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে তালাশের নির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিসের নির্দেশনাও এমনই-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত- হজরত মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কদরের রাত্রি সম্বন্ধে বলেছেন ‘রমজান মাসের শেষের দশ রাত্রিসমূহে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান কর।’ (বুখারি)

নবিজী আরও বলেছেন ‘তোমাদের কাছে রমজান এসেছে। রমজান বরকতময় মাস। এ মাসের রোজা আল্লাহ তোমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। এ মাসে বেহেশতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হয়েছে আর দোজখের দরজাসমূহ বন্ধ করা হয়েছে এবং দুষ্কৃতকারী শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়েছে। এ মাসের একটি রাত যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত, সে সকল প্রকার কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।’ (বুখারি)

শেষ দশকে নাজাত পাওয়ার দোয়া

শেষ দশকে আল্লাহর কাছে নাজাত পাওয়ার জন্য নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি দোয়া পড়ার নসিহত করেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আমি লাইলাতুল কদর পেলে কি দোয়া করবো? নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে এ দোয়াটি পাঠ করতে বলেছেন-

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

নবিজী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ভালো কাজের পথ প্রদর্শনকারী অবশ্যই আমলকারীর সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।’ (মুসলিম)

তাই মুমিন মুসলমান রোজাদারের উচিত, শেষ দশকে একে অপরকে ইবাদত-বন্দেগির প্রতি আগ্রহী করে তোলা বা আমল-ইবাদতে সাহায্য করা জরুরি ও সওয়াবের কাজ।

রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে যে কোনো দিন লাইলাতুল কদর হয়ে যেতে পারে। তাই লাইলাতুল কদরের রাত থেকে বঞ্চিত না হতে নিয়মিত এ আমল ও দোয়ায় রাত অতিবাহিত করা সবার জন্য জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে যথাযথভাবে আমল কার এবং লাইলাতুল কদর পাওয়ার তাওফিক দান করুন। রোজাদারকে নাজাত দান করুন। আমিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com