লিভার পরিষ্কার করে যে খাবার

0

অনিয়মিত জীবনযাপনের প্রভাব পড়ে লিভারের উপর। আর এ কারণেই বর্তমানে ফ্যাটি লিভারসহ লিভারের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভুল খাদ্যাভাসসহ শরীরচর্চার অভাবে অনেকেই এখন লিভারের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার মধ্যে ফ্যাটি লিভার অন্যতম।

এতে লিভারের কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। স্থূলতার কারণে খুব অল্প বয়েসেও ফ্যাটি লিভার বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। আবার সহজে এ রোগের লক্ষণ বোঝার উপায় নেই।

অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেও এই অসুখ দেখা দিতে পারে। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হয়। অ্যালকোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান থেকে লিভারে চর্বি জমলে তা অ্যালকোহলিক ফ্যাট।

তবে নন অ্যালকেহলিক ফ্যাটি লিভারের জন্য দায়ী তৈলাক্ত ও ফ্যাট খাবার। নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার আবার বংশগত কারণেও হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই লিভারের বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি কমানো যায়।

এজন্য লিভার পরিষ্কার রাখা জরুরি। তাহলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এজন্য নিয়মিত পাতে রাখতে হবে কয়েকটি খাবার। জেনে নিন কী কী-

> আঙুরে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। যা লিভার থেকে টক্সিন পদার্থ বের করে দেয়। নিয়মিত আঙুর খেলে লিভারে সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে।

> ভিটামিন সিতে ভরপুর লেবু শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের বর্জ্যপদার্থগুলো বের করে দিতে এটি দারুণ উপকারী।

গরমের দিনে শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে লেবু খেতে পারেন। লিভার সুস্থ রাখতে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লেবু রাখুন।

> বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে সজনে ডাটা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই সবজিও বেশ উপকারী। সজনে ডাটা হজমশক্তি বাড়ায় ও রক্ত পরিষ্কার করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সজনে ডাটা লিভার ফাইব্রোসিস রোগের ঝুঁকি কমায়।

> টকদই প্রোবায়োটিকের দারুণ উৎস। লিভারে জমে থাকা ফ্যাট ঝরাতে টকদই সাহায্য করে,বলে জানা যায় বিভিন্ন গবেষণায়। গরমের টকদই খেলে শরীরও ঠান্ডা থাকে। আবার হজমও ভালো হয়।

> মেদ ঝরাতে গ্রিন টি অনেক উপকারী। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর গ্রিন টি লিভারের চারপাশে মেদ জমতে দেয় না। লিভার সুস্থ রাখতে তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করুন।

সূত্র: এনডিটিভি

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com