ক্ষমতা হারানোয় যুক্তরাষ্ট্র ও ‘মীর জাফরদের’ দুষছেন ইমরান খান

0

কয়েক দিন ধরে চলা নাটকীয়তা আর নানা জল্পনা-কল্পনার পর গত শনিবার (৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জোটের কিছু সদস্য পক্ষ পরিবর্তন করায় মাত্র তিন ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার হাতছাড়া হয়েছে তার। এমন পরিণতির জন্য আগে রেখেঢেকে করলেও এখন সোজাসুজি যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছেন ইমরান। পাশাপাশি, স্থানীয় ‘মীর জাফরদের’ও তুলোধুনো করেছেন তিনি।

সোমবার (১১ এপ্রিল) দিনগত রাতে এক টুইটে ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ও স্থানীয় মীরজাফরদের মাধ্যমে প্ররোচিত দুর্বৃত্তদের ক্ষমতায় আনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আশ্চর্যজনক সমর্থন ও আবেগ প্রকাশের জন্য সব পাকিস্তানিকে ধন্যবাদ। দেশে ও বিদেশে পাকিস্তানিরা এটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এর আগে আরেক টুইটে সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু শাসক পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আজ আবার স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হলো। দেশের জনগণই সবসময় সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে।

ইমরান খানের এই ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকরা। রোববার রাতে দেশটির অন্তত ৪০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের খবর অনুসারে, করাচি, পেশোয়ার, মালাকান্দ, মুলতান, খানেওয়াল, খাইবার, ঝাং, কোয়েটা, ওকারা, ইসলামাবাদ, লাহোর ও অ্যাবোটাবাদ শহরে বড় ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বাজাউর, লাওয়ার দির, শাংলা, কোহিস্তান, মানসেহরা, সোয়াত, গুজরাট, ফয়সালাবাদ, নওশেরা, ডেরা গাজি খান ও মান্ডি বাহাউদ্দিনেও বিক্ষোভ করেছেন ইমরান সমর্থকেরা।

আগের দিন পিটিআইয়ের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী ইসলামাবাদে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ইশার নামাজের পরে বিক্ষোভ করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইমরান খান সামনে থেকে এই বিশাল আন্দোলনে নেতৃত্ব না দিলে দেশের রাজনীতি ও সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।

এর আগে, দিনভর নাটকীয়তার পর শনিবার রাতে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। শতচেষ্টা সত্ত্বেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেন না ২২ গজের ক্রিকেট পিচ দাঁপিয়ে বেড়ানো ইমরান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী। তার ক্ষমতাচ্যুতির মধ্যদিয়ে দেশটির নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।

কয়েক দফা মুলতবির পর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশন অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। এতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। প্রস্তাব পাসের জন্য দরকার ছিল ১৭২ ভোট। ভোটাভুটি শেষে প্যানেল স্পিকার পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) নেতা আয়াজ সাদিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com