শ্রীলঙ্কা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থার হুমকি
শ্রীলঙ্কার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকি দিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল। চলমান তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিকে দেশটির গার্মেন্ট, চা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরা চলতি বছরে ২০-৩০ শতাংশ রফতানি কমার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা সংসদে বলেন, অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় সরকারের কাজ করা উচিত। তা না করতে পারলে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে বলে জানান তিনি।
ঋণে জর্জরিত দ্বীপ রাষ্ট্রটির বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটে ভুগছে। আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য ডলার নেই বললেই চলে। এতে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে নাগরিকরা। এমনকি পাঁচ দিনের জরুরি অবস্থা ও দুই দিনের কারফিউ ভেঙেও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ছেয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে হাতেগোনা কয়েকজন মন্ত্রী নিয়ে বর্তমান সরকার চালাচ্ছেন। কারণ এর আগে মন্ত্রিসভার সব সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। সঙ্কট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের সরকারে যোগ দিতেও অস্বীকার করেছে বিরোধীরা।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার জোট সরকার থেকে ৪১ জন আইনপ্রণেতা বেরিয়ে গেছেন ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সংসদে এখনো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন। এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে মার্চে খাবারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা যাচ্ছে। দেশটির অর্থনৈতিক সঙ্কট প্রভাব ফেলেছে রাজনীতিতেও। দেখা দিয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা।