এতিম ৩ সন্তান নিয়ে এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়নি কহিনুরের

0

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যাওয়ার পর এতিম তিন সন্তান নিয়ে অসহায় দিনযাপন করছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কহিনুর বেগম। জায়গার ব্যবস্থা হলেও এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়নি। এখন প্রয়োজন একটি বসতঘর। এতে প্রায় লাখ টাকার দরকার।

দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করা, তার পাশাপাশি হিফজু বিভাগের ছেলের প্রতিমাসে পড়ার খরচ জোগাড় করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। এদিকে অ্যাজমা রোগের কারণে কাজ-কর্ম করতে পারছেন না তিনি। খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন চলছে তার।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনির হোসেন সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার পরিচালনা করে আসছিলেন। এরই মাঝে তাদের তিন সন্তান জম্ম নেয়। গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে মনির হোসেন কান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পরে কহিনুর বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীতে নারী শ্রমিক হিসেবে চাকরি করে সংসার পরিচালনা করতেন। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার চাকরি চলে গেছে।

এদিকে মনির হোসেনের মৃত্যুর পর তার জীবনে ঝড় নেমে আসে। এক দিকে তার চাকরি চলে গেছে অন্য দিকে মনিরের বাবা কহিনুরকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবার জন্য চাপ সৃষ্ঠি করছে। কিন্তু যাবেন কোথায় এতিম তিন সন্তান নিয়ে? তার বাপের বাড়িতে ঘর-ভিটে ছাড়া আর কিছুই নেই।

সম্পতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের পর সাহায্যে এগিয়ে আসেন দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা, গুণীজন ও দয়াবান ব্যাক্তিরা। এসব সাহায্যের টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে সম্প্রতি পরিবারটির বাসস্থানের ব্যবস্থা জন্য একটি জমি ক্রয় করতে গিয়ে কোহিনুর ২৮ হাজার টাকা দেনা করেন। এখন দেনার টাকা ও একটি টিনের ঘর নির্মাণ করতে প্রয়োজন প্রায় ১ লাখ টাকা।

এতিম ৩ সন্তান নিয়ে ভাতের জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবেন এ চিন্তায় ঘুম বন্ধ হয়ে গেছে বিধবা এ নারীর। কোমলমতি তিন শিশু ও অসহায় নারী তাকিয়ে আছে দেশের মানুষের দিকে। সন্তানদের লেখা-পড়া ও মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে সাহায্যে এগিয়ে আসবেন কি দয়াবান ব্যক্তিরা?

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : বিকাশ নম্বর, কহিনুর বেগম- ০১৮৬২২৯১৬৪৭

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com