আওয়ামী লুটেরা সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়: গয়েশ্বর
মানুষের মনে আজকে যে ক্ষোভ, সেই ক্ষোভটাকে বিস্ফারণের মত রাজ পথে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘কৃষি উপকরণের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি ও সেচের পানির অভাবে কৃষকের আত্মহত্যার কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল।
গয়েশ্বর বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কোন অজুহাত থাকে না। কারণ ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার যুদ্ধ, ধর্মীয় যুদ্ধের মতই একটা যুদ্ধ। সেই কারণেই বলছি আমাদের রোজা-পূজা, শীতের আগে শীতের পরে, ঈদের আগে ও পরে এই ভাবনা পরিত্যাগ করেন। প্রতি মূহূর্তই এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য মাঠে মাঠে, প্রান্তরে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে হবে। মানুষের মনে আজকে যে ক্ষোভ, সেই ক্ষোভটাকে বিস্ফারণের মত রাজ পথে আনতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, ‘বর্তমান লুটেরা সরকারের হাত থেকে পরিত্রাণ নিয়ে জনগণ একটা সুশাসন চায়। আর এই সুশাসন নিশ্চিত করতে গেলে, দুর্নীতিকে নির্মূল করতে গেলে, অপশাসনকে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র থেকে বিতাড়িত করতে হলে, জাতীয় ঐক্যমতে একটা জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই দুর্নীতি দমন কমিশন… আওয়ামী লীগের লোকেরা দুর্নীতি করে। এগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেয়। কয়েকদিন পর সাফারি সার্টিফিকেট দেয়, আমি বলছি এইটা একটা ভালো লন্ড্রি, এখানে আওয়ামী লীগের লোকেরা যাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা সার্টিফিকেট নিয়ে আসবে। আর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হয়। অর্থাৎ এটা রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন যদি তার কাজটা সঠিকভাবে করে তাহলে দুর্নীতির রশি টেনে ধরা যায়। তো দরবেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কি করবে। কিছু করার নেই। সে কারণে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ নিয়ে জনগণ একটা সুশাষন চায়। আর এই সুশাসন নিশ্চিত করতে গেলে, দুর্নীতিকে নির্মূল করতে গেলে, অপশাসনকে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র থেকে বিতাড়িত করতে হলে, জাতীয় ঐক্যমতে একটা জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।