‘রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাই’
রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৮ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। এ ‘দুর্ঘটনার জন্য দায়ী মালিকের’ কেন বিচার করা হলো না তাও জানতে চান তারা। শুক্রবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রানা প্লাজা, তাজরিন নেভার এগেইন’ শীর্ষক র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল হক আমিন।
এ সময় ফেডারেশন থেকে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয় এবং রানা প্লাজা ও তাজরীন গার্মেন্টসের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার জন্য শ্রমিকদের জীবন দিতে হয়, এর দায় গার্মেন্টস মালিকদের। আমরা তাদের জিজ্ঞেস করতে চাই, রানা প্লাজায় কেন ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক ভাইবোনকে জীবন দিতে হলো? তারা তো কাজ করতে এসেছিল। কিন্তু তারা আজকে নেই কেন? আমরা এ কথা জিজ্ঞেস করতে চায় বায়ারদের। তারাই তো রানা প্লাজায় অর্ডার দিয়েছিল। তারা অর্ডার দেওয়ার আগে রানা প্লাজার বিল্ডিং নিরাপদ কিনা তা দেখলো না কেন?’
তিনি বলেন, ‘আমরা কি ধরে নেবো, রানা প্লাজাসহ সব গার্মেন্টসের মালিকদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ আছে। সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে মালিকদের এই অবহেলা।’
এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, দেশের অনেক বড় শিল্প গার্মেন্টস। এখানে লাখ লাখ কর্মী কাজ করেন। তাদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কর্মীদের বেতন মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।’
সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, কেন্দ্রীয় নেতা আরিফা আক্তার, রফিকুল ইসলাম রফিক, নাসিমা আক্তার, মো. কবির হোসেন, মিসেস ইসরাত জাহান ইলা, মো. ফরিদুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।