যারাই গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, তাদের সঙ্গেই কাজ করবো: খসরু
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে আছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে আছে, তাদের সঙ্গেই আমরা কাজ করবো। আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য একতাবদ্ধ থাকবো।
দেশ যেদিকে যাচ্ছে তাতে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, ‘এখান থেকে বিচ্যুতি হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। আগামী দিনে নির্বাচন নাকি আন্দোলন। যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় সেই নির্বাচনে বিএনপি নিয়, দেশের প্রতিটি নাগরিকই যাবে। বৈধ সরকার ক্ষমতায় আসবে, জনগণের কাছে জবাবদিহি থাকবে।’
শনিবার (১৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও খ্যাতিমান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, দেশের প্রতিটি জনগণের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি বানাতে পারবে কি? পারবে না! জীবনের নিরাপত্তা, সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা সবকিছু নির্ভর করে আগামী নির্বাচনের ওপর।
তিনি বলেন, আজকে কষ্ট হয়, জনগণ জানতে চায়, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে কি নেবে না।এই মুহূর্তে যারা জানতে চায়, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, তারা কি চোখে দেখে না? তাদের কী বোধ শক্তি নাই? তাদের যদি বোধ শক্তি থেকে থাকে, তাহলে তারা তো বুঝার কথা বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন আছে কিনা। যেখানে অংশগ্রহণ করার প্রশ্ন আসে। নির্বাচন থাকলে তো অংশগ্রহণের প্রশ্ন আসবে। যেখানে নির্বাচনই নাই দেশে, সেখানে প্রশ্ন কিসের।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবে কি নিবে না, এটা তো প্রশ্ন করার দরকার নাই। জনগণ ভোট দিতে পারবে কি পারবে না, এটা প্রশ্ন করার দরকার আছে! শুতরাং বিষয়টি পরিস্কার। অতএব এই প্রশ্ন যাতে আর কেউ না করে। আগামী নির্বাচন যদি হয়, তাহলে সেটা হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। তাছাড়া নির্বাচন হবে না।
তিনি বলেন, একটা গোষ্ঠী আছে, তাদের এখানে স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তারা হলো জনগণের বিপক্ষের শক্তি। তাদের স্বার্থ্য কী? কিছু তো খেতে হবে। খাওয়া দাওয়া তো কিছু পেতে হবে। কিন্তু দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে। আইনের শাসন কেড়ে নিয়ে, জীবনের নিরাপত্তা কেড়ে নিয়ে। এই লোকগুলো কারা, তাদের তো চিহ্নিত করতে হবে।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ জানে এরা কারা। এটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমরা সঠিক পথেই আছি। আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, আইনের শাসনের পক্ষে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে। সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে যারা আছে, আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য একতাবদ্ধ থাকবো। এখানে দ্বিমত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। অন্য বিষয়ে আমাদের দ্বিমত থাকে, কিন্তু এই সরকারের পতনের সঙ্গে যাদের দ্বিমত থাকবে না, তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা একসঙ্গে করতে পারি, যার যার অবস্থান থেকে করতে পারি। কিন্তু আমাদের লক্ষমাত্রা তো একটাই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম, জাতীয় দলের সভাপতি এহছানুল হুদা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।