আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন: তারেক রহমান

0
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে বলেন,
“আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তাদের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।

 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল লক্ষ্য সমাজের সব স্তরে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। তাই বাংলাদেশে এ দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম।

 

তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী সমাজের অগ্রগতি সাধিত হলে জাতির সামগ্রিক বিকাশ সম্ভব হবে। এ সত্যটি উপলব্ধি করেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকার এ দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে। নারী সমাজের অশিক্ষার অন্ধকার ঘুচিয়ে শিক্ষার ব্যাপক প্রসারের জন্য বেগম জিয়ার সরকার অনেক কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফলে নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার কারণে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জেগে উঠে। একই সঙ্গে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খূঁজে পেয়েছে। বর্তমান সময়ে নারীরা জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প-সাহিত্য, গবেষণা তথা সমাজের সব স্তরেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সাফল্য অর্জনের দিন হিসেবেও আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয়।

 

তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন নৈরাজ্যের অন্ধকারে নিমজ্জিত। নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একজন নারী অথচ তাঁকে সীমাহীন হয়রানী ও হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গৃহবন্দী করা হয়েছে। তাঁর ন্যায্য জামিন পাওয়ার অধিকার কেড়ে নিতে সরকার নানা কারসাজী করছে। নারী দিবসে এই সমস্ত রাষ্ট্রীয় অনাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের প্রত্যয় ঘোষণা করতে হবে।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাণীতে বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে বৈশি^ক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার। নারী সমাজ যাতে অবহেলা, নির্যাতন ও নিপীড়ণের শিকার এবং ন্যায্য অধিকার থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বৈশ্বিক কর্মযজ্ঞে নারীর সমতায়ন এখন সর্বপ্রথম এজেন্ডা হওয়া উচিৎ।

 

আজকের এই শুভ দিনে আমি নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানাই। এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘ভেঙ্গে ফেলো বৈষম্য’ এর সফলতা কামনা করছি।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com