১/১১ সরকারের শপথে হাসিমুখে গিয়েছিল আ.লীগ

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, অবৈধ ও অসাংবিধানিক ১/১১ সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ হাসিমুখে গিয়েছিল এবং সে সময় বলেছিল ওই সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। তবে, বিএনপি সেই অনুষ্ঠানে যায়নি।

গতকাল সোমবার (৭মার্চ) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় বলেছে এক/এগারো সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। আমরা বরাবরই বলি সেটা একটা অসাংবিধানিক অবৈধ সরকার ছিল। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার যে বিধান সেটা কার্যকর করার আগে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। ফখরুদ্দিন সাহেবকে নিয়োগের সময় সে আলোচনা হয়নি। কারণ তাকে নিয়োগ করা হয়েছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের চাপের মুখে। ওই সরকার সংবিধান অনুযায়ী বৈধ ছিল না। সেই সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বিএনপি ও তাদের সহযোগীরা যায়নি। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় তারা এবং তাদের সহযোগীরা হাসিমুখে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, সেই (১/১১) সরকার অত্যন্ত গর্হিতভাবে, অন্যায়ভাবে আমাদের নেতা তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০০৭ সালের এই দিনে যে অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেটা ছিল একটা চাঁদাবাজির অভিযোগ। কিন্তু যাকে অভিযোগকারী দেখানো হয়েছিল পরে লিখিতভাবে জানান তিনি সেই অভিযোগ করেননি। সেই অভিযোগপত্রে যে দস্তখত সেটা তার না। এরকম কোনো অভিযোগ তার কখনও ছিল না, এখনও নেই। অর্থাৎ পুরোপুরি একটা মিথ্যা ডকুমেন্টের ওপর, বানোয়াট অভিযোগে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছিল।

কেন তারেক রহমানের ওপর অত্যাচার করা হলো প্রশ্ন করে নজরুল ইসলাম বলেন, এরা ছিল অমানুষ। ভাল মানুষ কখনও অন্যায় করে না। তারা শুধু তারেক রহমানকে নয়, তার ছোট ভাই যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তাকেও গ্রেপ্তার করেছিল।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা তা মোকাবিলা করতে পারিনি। এ ব্যাপারে মিডিয়ারও ভূমিকা আছে। আমাদের আরও বেশি সচেতন এবং সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযোগপত্রে তারেক রহমানের নাম ছিল না। প্রথম দুটা চার্জশিটে তার নাম ছিল না। চার্জশিটে তার নাম ঢোকানোর জন্য নৌকা মার্কায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া পোস্টার ব্যানার করা অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কাহার আখন্দকে, পদন্নোতি দিয়ে বাহিনীতে ফিরিয়ে এনে আবার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সে মুফতি হান্নানকে দীর্ঘদিন রিমান্ডে রেখে সাক্ষ্য দেওয়ানো হয়। সেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একমাত্র সাক্ষী। আদালতে মুফতি হান্নান যাতে না বলতে পারে যে, তাকে জোর করে চাপ দিয়ে বলানো হয়েছে, সেজন্য অন্য মামলায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই তার বিরুদ্ধে তাদের এত ক্ষোভ। ভয় পেলে কী লাভ হবে? যে ভয় পেতে ছিলেন, ওই ভয়ই এখন আপনাদের খাবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমানকে আমরা কেন নেতা মানি এই নিয়ে তাদের (আওয়ামী লীগের) আপত্তি। আরে ভাই আপনারা আপনাদের দলের কাকে চেয়ারম্যান বানান, সেক্রেটারি বানান এটা কি আমরা বলতে যাই নাকি? ওটা আপনাদের ব্যাপার। আর আমরা বিএনপিতে কাকে চেয়ারম্যান বানাবো, কাকে মহাসচিব বানাব এটা আপনারা বলার কে? আমরা তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তারমধ্যে আমরা শহীদ জিয়ার চেহারা দেখি।

নজরুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমান দিনরাত পরিশ্রম করেন। প্রতিদিন কত জায়গায় কত সংগঠনের সঙ্গে উনি কথা বলেন জানেন? আমরা ঢাকা থেকে বিএনপির যতো লোককে চিনি না, উনি লন্ডন থেকে তার চেয়ে বেশি লোককে চেনেন। আমরা যত লোকের সঙ্গে কথা বলি না, উনি লন্ডন থেকে তার চেয়ে বেশি লোকের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে উনি নেতা হবেন নাকি ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদের কথা মতো আর একজনকে নেতা বানাতে হবে? কেন এত ভয় তারেক রহমানকে? লাভ নাই, শহীদ জিয়া আমাদের নেতা, খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রী এবং তারেক রহমান আমদের নেতা এবং ভাই। আমরা তাকে আমাদের মাঝে চাই। আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। তারেক রহমানকে আমাদের মাঝে নিয়ে আসব।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com