জনগণের চরম দুর্দিনে সরকার নির্বিকার: প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, জনগণের চরম দুর্দিনে সরকার নির্বিকার। জনগণের প্রতি এ সরকারের দায়বদ্ধতা নেই। মন্ত্রীরা বলছেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।’ জনবিচ্ছিন্ন সরকার জনগণের খবর রাখে না বলেই এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল রবিবার দুপুরে ময়মনসিংহের নতুন বাজারে শিশু একাডেমি চত্বরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ময়মনসিংহ মহানগর শাখা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তিনি ময়মনসিংহ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল ও বিকেলে শিশু একাডেমি চত্বরে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশেও যোগ দেন।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল ইসলাম লুইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, এড. এম এ হান্নান খান, কায়কোবাদ মামুন, মাহবুবুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ রায়হান। উত্তর জেলা ছাত্রদলের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ সাদমান ডুনন, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ।
বিক্ষোভ সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের দীর্ঘ লাইন কিংবা বাজারে মানুষের আহাজারী দেখলেই অনুমান করা যায়, মন্ত্রীদের দাবি কতটা অন্তঃসারশূন্য।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতিবাজদের প্লাটফরমে পরিণত হয়েছে। যে কারণে জনগণের প্রতি তাদের মমত্ববোধ নেই। অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে শোচনীয় পরাজয় যাদের নিশ্চিত, তারা বেহায়ার মতো বলে আগামী ৫০ বছরে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না তা নিয়ে কথা বলে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে অনুগত প্রশাসনকে দিয়ে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট কেটে ফলাফল ঘোষণাকারীরা এখন নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জনগণ জেগে উঠছে, এবার আর ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।