প্রিন্স অ্যান্ড্রুর যৌন হয়রানির মামলা আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি

যৌন হয়রানির দায়ে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পদ-পদবি আগেই হারিয়েছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দ্বিতীয় সন্তান। যুক্তরাষ্ট্রে যৌন হয়রানির মামলায় লড়ছিলেন তিনি। এবার সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। মামলাটি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মামলার মুখোমুখি হন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে করা মামলায় ভার্জিনিয়া জিউফ্রে নামের ওই নারী দাবি করেন, অ্যান্ড্রু ২০০১ সালে তাকে অপব্যবহার করেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতে দাখিল করা একটি নথির তথ্য বলছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও জিওফ্রে আদালতের বাইরে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন। বিচারক লুইস এ কাপলানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা জিওফ্রের দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ‘যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ’ দেবেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু কখনো জিওফ্রের চরিত্রে দাগ লাগাতে চাননি। তবে তিনি স্বীকার করেন, জিওফ্রে নির্যাতনের পাশাপাশি মানুষের অন্যায় আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

তবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর প্রতিনিধিরা বলেছেন, আদালতের বিবৃতির বাইরে তাদের এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য নেই।

শিশু-কিশোরীদের পাচার ও জোর করে যৌনদাসীর কাজ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগে কারাবাসে ছিলেন মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইন। পরে তিনি কারাগারেই মারা যান। এই অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। এপস্টেইনকে অনেকবারই দেখা গেছে প্রিন্স অ্যান্ডুর সঙ্গে। যদিও এখন প্রিন্স অ্যান্ড্রু মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার জন্য অনুশোচনাও করেন।

সূত্র: বিবিসি