ইউক্রেন সংকট: কূটনীতিকদের স্বজনদের সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা আমেরিকার

0

ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে চরম উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজেও সে রকম পূর্বাভাস দিয়েছেন।

বাইডেনের এমন আশঙ্কা প্রকাশের পরই শোনা যাচ্ছে ইউক্রেন থেকে কূটনৈতিক পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরিবারের সদস্যদের যখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার আদেশ দেওয়া হবে তখন অপ্রয়োজনীয় কর্মীরা সেচ্ছায় ইউক্রেন ছাড়তে পারবেন। অর্থাৎ প্রথমে কূটনৈতিক পরিবারের সদস্যরা ইউক্রেন ত্যাগ করার অনুমতি পাবেন। তারপর অন্যান্য কর্মীরা। এমন একটি ঘোষণা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আসতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে শুক্রবার ইউক্রেন ইস্যুতে জেনেভায় বৈঠক করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সময় রাশিয়ার সমস্যা সমাধানে আবারও বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন তারা। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়া যদি বিশ্বকে বোঝাতে সক্ষম হয় যে তারা ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাবে না তাহলেই ভালো পরিবেশ তৈরি হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালাবেন বলে ধারণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বাইডেন এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। তবে এ ধরনের কিছু ঘটলে রাশিয়াকে চড়া মূল্য দিতে তবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, ইউক্রেনে এক মাসরে মধ্যে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এরপরই বাইডেনের কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসে।

রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমরা ধারণা রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হবে। পুতিনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সে কিছু একটা করতে পারে।

তিন দশক আগে স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবারই। এর আগে ক্রিমিয়া দখল নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও তা বেশি দূর গড়ায়নি।

কিন্তু এবার ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, তা আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কাজাখস্তানে বিক্ষোভ দমনে দেশটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে মস্কোর সেনা প্রেরণ বড় ধরনের উদ্বেগের সূচনা করে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com