‘আপনি কি পাকিস্তানের অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন’, মোদিকে মমতা

0

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানের অ্যাম্বাস্যাডার বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার অভিমত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দিনভর পাকিস্তানের মতো কথা বলেন, পাকিস্তানের ভাষাতে কথা বলেন। শুক্রবার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (ক্যা), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি’র (এনআরসি) প্রতিবাদে রাজ্যটির শিলিগুড়িতে এক জনসভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মমতা। 

মমতা ব্যানার্জি আরও বলেন, আমরা পাকিস্তানের কথা শুনতে চাই না। আমরা পাকিস্তানকে চাই না। আমরা হিন্দুস্তান চাই। হিন্দুস্থানের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করবেন না। সব কথার মধ্যে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যেন মনে হচ্ছে পাকিস্তানের অ্যাম্বাসেডর হয়ে গেছেন। তিনি সারা রাতদিন পাকিস্তানের কথা বলেন। আমরা পাকিস্তানকে সমর্থন করি না। আমরা হিন্দুস্তানকে সমর্থন করি। আমরা হিন্দুস্তানের মাটিকে সমর্থন করি। দেশে কি হচ্ছে ? দেশের কোনো মানুষ যদি কর্মস্থান স্থান চায়, তাকে বলা হচ্ছে পাকিস্তানে চলে যাও। কেউ খাবার চাইলে তাকেও পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হচ্ছে। কেউ শিল্প-কলকারখানা কিংবা নাগরিকত্ব চাইলে তাকেও পাকিস্তানে চলে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন ? সব কথাতেই কেবল পাকিস্তান, আপনি কি হিন্দুস্তানের কথা ভুলে গেছেন। হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কেবল পাকিস্তানের কথা বলছেন। 

মুখ্যমন্ত্রী জানান ‘আমি এখনও বলছি আমরা ভারতীয় হিসেবে গর্ববোধ করি। বাংলার মাটি আমাদের এটা শিখিয়েছে। আমরা পাকিস্তানের চর্চা করব না। পাকিস্তানের চর্চা, পাকিস্তান করবে। আমরা হিন্দুস্তানের চর্চা করব। এটাই আমাদের দেশ। এটাই আমাদের মাটি। এই আমাদের জন্মভূমি। আমরা একে ভুলতে পারিনা।’ 

ক্যা, এনআরসি, এনপিআর নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রের চার মন্ত্রী চার রকম ভাষণ দিচ্ছে। প্রথমে তারা কনফিউশন করে দিচ্ছে। এরপর কন্ট্রাডিকশন, এরপর ক্লারিফিকেশন, আর সবশেষে বিসর্জন। এটাই এখন এদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এখানে কোনো ভাবে এনপিআর করতে দেবো না।’ 

পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি ফের বলেন, ‘আমাদের পাকিস্তানের চর্চা করে লাভ নেই। আমাদের ভারতের ঠিকানা রাখা বেশি জরুরি। আমরা এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য লড়াই করেছি। আমরা এ দেশের স্বাধীন লোক। আমাদের ঠিকানা আমাদের নিজস্বতা। আমরা এই অধিকার ছিনিয়ে নিতে দেবো না। প্রত্যেকটি মানুষ আমাদের দেশের নাগরিক। আপনাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’ 

মমতার অভিমত, ‘আজকে আমরা যে লড়াই করছি এটা স্বাধীনতার লড়াই। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই। এটা আমার দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই।’

সভা শেষে শিলিগুড়ির মৈনাক টুরিস্ট লজ থেকে বাঘাযতীন পার্ক পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন তিনি। এসময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ দলের অসংখ্য নেতাকর্মী।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com