সাইপ্রাসে মুসলমানদের মসজিদে হামলা সহ্য করা হবে না: এরদোগান
সাইপ্রাসে মুসলমানদের মসজিদে হামলাকে সহ্য করবেন না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।
সোমবার কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশ্যে রওনার আগে ইস্তাম্বুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত ২ অক্টোবর গ্রিক নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ সাইপ্রাসের লারনাকা শহরের জামে মসজিদে আগুন দেয়া হয়। এই হামলায় অবশ্য কেউ আহত হয়নি।
হামলার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে অন্তত একজনকে আটক করা হয়েছে।
এরদোগান বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে দক্ষিণ সাইপ্রাসে আমাদের মসজিদের বিরুদ্ধে আঘাতের চেষ্টা হয়েছে। অবশ্যই দক্ষিণ সাইপ্রাসে এই হামলা জবাবহীন থাকবে না।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দক্ষিণ সাইপ্রাসকে আমরা বলতে চাচ্ছি, আমাদের ইবাদতের স্থানে কোনো প্রকার হামলা যেনো না হয়। এই ধরনের হামলার জন্য আপনাদের বিপুল মূল্য দিতে হবে।’
এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রোববার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এটি শুধু মুসলমানদের লক্ষ্য করেই নয়, বরং মানবতার সাধারণ মূল্যবোধকে হুমকিতে ফেলেছে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অনুধাবন থেকে নির্দিষ্ট একটি চক্র কত দূরে আছে তা প্রকাশ করেছে।’
তুর্কি নিয়ন্ত্রিত উত্তর সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট এরসিন তাতার এই হামলার জন্য নিন্দা জানিয়েছিলেন এবং গ্রিক নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ সাইপ্রাস প্রশাসনকে এই ধরনের হামলা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
১৯৬০ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দ্বীপদেশ সাইপ্রাসে তুর্কি ও গ্রিক অধিবাসীদের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। দ্বীপটির গ্রিক অধিবাসীদের এক অংশ গ্রিসের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলো। অপরদিকে তুর্কিরা স্বাধীনভাবে শাসন পরিচালনায় মত প্রকাশ করেছিলো।
১৯৭৪ সালে গ্রিসের সাথে যুক্তকামীরা দেশটিতে এক অভ্যুত্থান করলে তুরস্ক সাইপ্রাস অভিযান শুরু করে। তুরস্কের সহায়তায় দ্বীপটির উত্তরাঞ্চলে তুর্কি বাসিন্দারা অবস্থান নেয় এবং পরে স্বাধীন উত্তর সাইপ্রাস তুর্কি প্রজাতন্ত্র গঠন করে। স্বাধীন দেশ হিসেবে উত্তর সাইপ্রাসকে একমাত্র তুরস্কই স্বীকৃতি দান করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা