সৌদি ফ্রান্সের সাথে মিলে লেবাননের জনগণকে সহায়তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: ম্যাক্রোঁ
লেবাননের সাথে সৌদি আরবের চলমান বিরোধের মীমাংসায় সহায়তা করবে ফ্রান্স।
শনিবার সৌদি আরবে সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জেদ্দায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর শেষে শনিবার সৌদি আরবে যান ম্যাক্রোঁ।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠকে লেবাননের সাথে দেশটির বিরোধের মীমাংসার বিষয়ে তারা আলোচনা করেন। এই সময় যৌথভাবে তারা লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিকে ফোন করেন।
ম্যাক্রোঁ বলেন, লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ বার্তা দেন, ফ্রান্সের সাথে মিলে সৌদি আরব লেবাননের জনগণকে সহায়তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, অল্প সময়ের ভেতরেই রিয়াদ বৈরুতের সাথে অর্থনৈতিক সহায়তার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা লেবাননের জনগণকে সহায়তায় প্রতিজ্ঞা করতে চাই এবং এই লক্ষ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করতে আমরা যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত।’
ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স ও সৌদি আরব লেবাননে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য একত্রে কাজ করবে।
লেবাননে বিবিধ অব্যবস্থাপনা ও গত বছর বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে দেশটির জনগণ নাকাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
এদিকে নাজিব মিকাতি জানিয়েছেন, সৌদি যুবরাজ ও ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাথে তার এই ফোনালাপ লেবাবনের সাথে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ‘এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’।
এদিকে লেবাননের মন্ত্রিসভা এক ফেসবুক বার্তায় জানিয়েছে, মিকাতি দেশটিতে সংস্কার সাধনের প্রতিজ্ঞা করেছেন।
এর আগে গত অক্টোবরে লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহি ইয়েমেনে সৌদি আরবের অভিযানের সমালোচনা করে বক্তব্যের জেরে রিয়াদ বৈরুত থেকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয়। অপরদিকে রিয়াদ থেকেও লেবানিজ রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করা হয়। সৌদি আরবের অনুসরণে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন তাদের দেশ থেকে লেবানিজ রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার করে বৈরুত থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নেয়।
এর পর থেকেই লেবাননের সাথে সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সম্পর্কে স্থবিরতা বজায় ছিলো।
সম্পর্কের জটিলতার জেরে তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোরদাহি গত শুক্রবার পদত্যাগ করেন।
সূত্র : আলজাজিরা