এবার জনগণের জোয়ারে আ.লীগের গদি ভেঙে যাবে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার বিদেশে না পাঠালে দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস ও বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় বাধা দিয়ে লাভ হবে না। জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছে। সেই জোয়ারে সরকারের গদি ভেঙে যাবে।’
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণের দাবিতে’ এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মতো নেত্রীকে যদি সরকার বিদেশে না পাঠান এবং গণতন্ত্রকে যদি আমরা রক্ষা করতে না পারি তাহলে এদেশের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। দেশবাসী জেগে উঠতে শুরু করেছে। এই জাগরণ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। পদ্মা, মেঘনা এবং যুমনার অববাহিকায় উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে। সেই তরঙ্গে আপনাদের গদি ভেঙে খানখান হয়ে যাবে।
কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ছড়িয়ে পড়েন গোটা বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সমস্ত কৃষক- কৃষানীদের বের করে আনেন ঘর থেকে। তারা তাদের নেত্রীর জন্য, বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য রাজপথে দাঁড়াক। আমরা সবাই এক সাথে দেশনেত্রীকে উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠাই, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি তাহলে এটা হবে আমাদের পণ।
খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তিলে তিলে তাকে হত্যা করা হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই রক্তক্ষরণ যদি বেশিদিন হয় তাহলে তিনি বাঁচবেন না। তার যে রোগ হয়েছে, লিভার সিরোসিস- এই রোগ মারাত্মক রোগ। এই রোগের চিকিৎসা আমাদের দেশে সেভাবে নেই। একমাত্র আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং জার্মানিতেই এই রোগের চিকিৎসা ভালো হয়।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের গৌতম চক্রবর্তী, মোশাররফ হোসেন, গোলাম হাফিজ কেনেডী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো সমাবেশ, মানববন্ধনের ধারাবাহিক কর্মসূচি করে যাচ্ছেন। আগামীকাল ছাত্রদলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে ৮দিনের এই কর্মসূচি শেষ হবে।