আ.লীগ নেতাকর্মীরা পালানোরও সুযোগ পাবে না: মেজর হাফিজ
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়েছিল ভারতে আর এখন পালানোর জন্য কানাডা, আমেরিকা মালয়েশিয়ায় বাড়ি বানিয়েছে। এই সুযোগ নাও পেতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ দলের আয়োজনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ বলেন, ১৯৭১ সালে কেমন ছিল বাংলাদেশ? এই ঢাকা শহরে এখন আপনারা নিশ্চিন্তে চলাফেরা করছেন তখন কি এভাবে চলা ফেরা করতে পারতেন? তখন প্রতিনিয়ত ও চিন্তা করতে হতো কখন যেন খুন হয়ে যায় গুম হয়ে যায়। হ্যাঁ ভাইয়া সবাই ভীত সন্ত্রস্ত ছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আজও আমরা ভীত সন্ত্রস্ত। কথা বলার স্বাধীনতা নাই। বাকস্বাধীনতা নাই। সব সময় ভয়ে থাকি কখন গুম হয়ে যাই। তাহলে কোথায় সে স্বাধীনতা।
তিনি বলেন, এই দেশকি স্বাধীন হয়েছে আওয়ামী লীগের লুটপাটের জন্য? কানাডা,আমেরিকা মালয়েশিয়ায় বেগম পাড়া বানিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে ছিল ভারতে আর এখন পালানোর জন্য কানাডা,আমেরিকা মালয়েশিয়ায় বাড়ি বানিয়েছে। পরিবার-পরিজন আগে পাঠিয়ে দিয়েছে কোন রকম বর্ডার পার হয়ে মাসীর দেশে যেতে পারলে পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হতে পারবে।এই সুযোগ নাও পেতে পারেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা কখনো ভাবেও নাই এদেশের জনগণ প্রতিরোধ করতে পারবে। কিন্তু প্রতিরোধ করেছে। তেমনি এই নিশি রাতে সরকার এর বিরুদ্ধে এদেশের জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। পাকিস্তানিরা যেমন টিকতে পারে নাই তেমনি এই নিশি রাতের সরকারও টিকতে পারবে না।
এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার এটা আমেরিকা ও স্বীকৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একশত দশটা দেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমেরিকা ডেকেছে কিন্তু বাংলাদেশকে ডাকে নাই। ভারতকে ডেকেছে আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছে এখানে দুর্বল গণতন্ত্র দেশদেরকে ডেকেছে। ভারত কি দুর্বল গণতন্ত্রের দেশ? ভারত নাকি আমাদের স্বামী আমরা তাদের স্ত্রী। স্বামী দেবতা তো ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে এ ধরনের কথা বলবেন না। সুতরাং সৈরাতন্ত্র চালিয়েছেন কিছু দিন চলবে বেশিদিন চলবে না।
জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আবদুস সালাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, জাতীয়বাদী মুক্তিযুদ্ধ দলের সাধারণ সসম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।