রাশিয়া বনাম ইউক্রেন নিয়ে চিন্তায় বাইডেন

0

উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। এই উত্তেজনা কোন দিকে গড়ায় কে বলতে পারে? আর এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেনের জন্য সময়টি ভালো যাচ্ছে না। তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের সাথে উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এখন ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সাথে দ্বন্দ্বে জড়ানো মানে সমস্যা বেড়ে যাওয়া।

রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলে পাল্টা প্রহারের জন্য তৈরি ইউক্রেনও- তাদের সীমান্তে রুশ সেনাবাহিনী মোতায়েন ঘিরে তৈরী হওয়া উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সীমান্ত এলাকায় রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বাড়তে থাকা টহল কপালে ভাঁজ ফেলেছে পাশ্চাত্যের দেশগুলোরও। উত্তেজনার পরিস্থিতি এড়াতে রাশিয়া বা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে তিনি কথা বলতে পারেন বলে শনিবার ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ দিকে জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার যদি সত্যি ইউক্রেনের ওপর হামলার কোনো অভিসন্ধি না থাকে, তা হলে তা নিয়ে যেন প্রকাশ্যে মুখ খোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

জেলেনস্কির দাবি, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে সংঘর্ষ অবধারিত বলেই তার মনে হচ্ছে। তবে রাশিয়ার সামরিক শক্তির রক্তচক্ষুকে যে তারা ভয় করেন না, তা-ও বার বার তুলে ধরেছেন তিনি। জেলেনস্কির হুঙ্কার, ‘মস্কো যদি সীমান্তের এ পারে সেনাবাহিনী ঢোকায় তা হলে কিয়েভের শক্তিশালী বাহিনী তাদের মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তত।’

সম্প্রতি ইউক্রেনের গোয়েন্দা দফতরের প্রধান কিরিলো বুদানভ জানিয়েছিলেন, ইউক্রেন সীমান্তে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৯২ হাজার রুশ সেনাসদস্যের ঘাঁটি গেড়েছে। জানুয়ারি বা খুব বেশি হলে ফেব্রুয়ারিতেই তারা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। তিনি আরো দাবি করেছেন, মাটিতে শুধু নয়, আকাশপথেও হানা দিতে পারে রুশ বাহিনী।

ইউক্রেন-রাশিয়ার এই টানাপড়েন নিয়ে চিন্তায় আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোও। ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টোলেনবার্গের সতর্কবাণী, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পেশিশক্তির প্রদর্শন করলে রাশিয়াকে তার দাম দিতে হবে, পরিণতি মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে হবে।’ আগামী সপ্তাহে লাটভিয়ার রাজধানী রিগায় নেটো অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন স্টোলেনবার্গ।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তো বটেই, রাশিয়ার এই অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ক্যারেন ডনফ্রায়েডও। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করুক তা মেনে নেবে না ওয়াশিংটন।’

একই সাথে তার মন্তব্য, ‘সব দিকই খোলা রাখা হয়েছে। এখন আমরা যেটা করছি তা হলো সীমান্ত অঞ্চলটির ওপর পুঙ্খানুপুঙ্খ নজরদারি চালাচ্ছি। পাশাপাশি রাশিয়াকে কিভাবে রোখা যায় তা নিয়ে আমাদের সহযোগীদের সাথেও আলোচনা চলছে।’

ইউক্রেনের ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা’ রক্ষার পক্ষ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং পোলান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাটিয়াস মোরাউইকিও। যদিও সামরিক উপদ্রবের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মস্কোর দাবি, ওয়াশিংটন ইচ্ছে করে এ ধরনের উত্তেজনার জল্পনা বাড়াচ্ছে।

সূত্র : আনন্দবাজার

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com