আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে বিকালঙ্গ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল

0

বর্তমানে বাংলাদেশে একটি অস্বাভাবিক, বিকৃত অবস্থা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,‘বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে একটি বিকালাঙ্গ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সমস্ত অর্জনকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।’

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিন এ কথা বলেন। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ‘জাতিসত্ত্বার অন্তরালে বিষাক্ত নিঃশ্বাস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাহস করে বই লেখার জন্য অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অনেকেই লিখতে পারি না। আমি লেখা ভুলে গেছি। পলিটিক্সের ঝামেলায় সব ভুলে গেছি। যখন জেলে ছিলাম তখন কিছু লেখার চেষ্টা করেছিলাম। পরে এসে দেখি ওটা এখন লেখা যাবে না। প্রকাশ করা যাবে না। প্রকাশ করতে গেলে এখন যতটুকু হাঁটাহাঁটি করছি সেটাও করতে পারব না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী গঠিত পার্লামেন্ট তারা শেষ করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে প্রশাসনকে তারা পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ করেছে। দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগের গণমাধ্যমে পরিণত করেছে। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্রের পুরনো ইতিহাস। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত একইভাবে তার দেশ পরিচালনা করেছেন। শেষ পর্যন্ত ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগের জিজ্ঞাসা করলে এটা এড়িয়ে যায়। তারা গণতন্ত্র কথা বলে? এটা (বাকশাল) জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দেয় না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এই সরকার অবৈধ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের নয়। এরা জনগণের সাথে প্রতারণা করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। আমরা এ নির্বাচন মানি না। এদেশের মালিক জনগণ, তারা একটি দিন পায় যে দিনে তারা নিজেদের কথাটা, অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সেটা হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। আওয়ামী লীগ সেই অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপারেশন পরবর্তী শারীরিক সুস্থ্যতা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল ম্যাডামকে দেখতে গেয়েছিলাম। আল্লাহ অশেষ রহমতে তিনি এখন ভালো আছেন। সবাই দোয়া করবেন, তিনি যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারেন।’

স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সেখানেও দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছু নাই। আর কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। এমপি ঘোষণা দিচ্ছেন এখানে কোনো নির্বাচন হবে না। একজন চেয়ারম্যান থাকবে, বাকিরা যাদের আমি সিলেক্ট করে দেব তারাই হবে সদস্য। তারপরও তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয় না। এটা তো রাষ্ট্রবিরোধী কথা।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com