বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদানের মিছিল আরও বড় হচ্ছে
কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্তের মতো বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। এবার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটিতে আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তার দাবি, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বিজেপির অনেক নেতা। তাদের কবে-কীভাবে দলে নেওয়া হবে তা ঠিক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার (৯ অক্টোবর) ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপির আরও অনেক নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে চান। আমাদের কাছে অনেক আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো অভিষেকের কাছে পাঠিয়েছি। কবে কাকে দলে নেওয়া হবে, তা অভিষেকই ঠিক করবেন।
ফিরহাদের এই মন্তব্য বিজেপি শিবিরে কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়াবে। কারণ সামনেই রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। মূলত গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙনের শুরু। বিশেষ করে দলটির রাজ্য সভাপতি পদে নতুন মুখ আসার পর একশ্রেণির নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এরই মধ্যে গেরুয়া শিবির ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলে নাম লিখিয়েছেন বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা ও বিধায়ক। আরও অনেকে তৃণমূলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন বলেও খবর ছড়িয়েছে, যা আশঙ্কা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরে।
তবে বিজেপির সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এগুলোকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছেন না। তার কথায়, নির্বাচনের আগে লাখ লাখ মানুষ তৃণমূল ছেড়ে এসেছিল। তাদের অনেকেই সুবিধা না পেয়ে এখন ফিরে যাচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু লোককে মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। অনেকের সরকারি সুবিধাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বলেছেন, তৃণমূলে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে এখন অনেকেই অনেক কিছু বলছেন। এসব নিয়ে বিজেপি চিন্তিত নয়।