দেশের নিরীহ জনগণ বুক পকেটে কষ্ট নিয়ে চলছে: আলাল
বর্তমানে দেশের নিরীহ জনগণ বুক পকেটে কষ্ট নিয়ে চলে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘বুক পকেটে কষ্ট নিয়ে হাঁটার পক্ষে আমরা না আমরা প্রতিবাদের পক্ষে জনগণের পক্ষে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদ (সরপ) আয়োজিত সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বুয়েটের কনভোকেশনে রাষ্ট্রপতি বলেছেন আপনারা পাস করেছেন, ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন এখন বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করবেন দয়া করে রডের বদলে বাঁশ দিবেন না। আর সিমেন্ট এর বদলে বালি দিবেন না। যে দেশের সাংবিধানিক প্রধান এ ধরনের কথা বলে তাহলে বুঝতে হবে দেশটা তারা কতটা রসাতলে নিয়ে গেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার নাই। গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। কথা বললেই গুম, খুন হতে হচ্ছে। যে কারণেই নিরীহ মানুষরা দুঃখ কষ্ট করে বলে বুক পকেটে কষ্ট নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটি। ভয়ে কিছু বলেও না যে, কে আবার শুনবে হামলা মামলা করবে।
আলাল বলেন, বুক পকেটে কষ্ট নিয়ে হাঁটার পক্ষে আমরা না। আমরা প্রতিবাদের পক্ষে জনগণের পক্ষে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মুক্তির যে লড়াই। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যে লড়াই সেই লড়াই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়তে হবে।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ভ্যাকসিন নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। এই ভ্যাকসিন আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অনেক আগেই। আমরা দেখেছি কলেরার টিকা, বসন্তের টিকা এগুলো আমরাও নিয়েছি তখন আমরা ছোট ছিলাম। সেই ভ্যাকসিনেশন শুরু হতে হতে পুরস্কারটা জুটলো শেখ হাসিনার হাতে। ভাবটা হলো ওনারাই সবকিছু করেছেন।
তিনি বলেন, একটা বিল্ডিং এর পিলার না থাকলে ছাদ ভেঙে পড়ে যায়। তেমনি ভ্যাক্সিনেশন এর ক্ষেত্রে পিলার তৈরি করেছে বিএনপি। ছাদ তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। আবার সেখানে দেখা যায় রডের বদলে বাঁশ দিয়ে দিছে।
বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম যে বাজেট পাস করা হয়েছিল। মোট টাকার বরাদ্দ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। আর এখন প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা বিদেশে বসে তুরি বাজায় আর বাংলাদেশ ব্যাংকের থেকে এক তুরিতে চলে যায় ৮ শত কোটি টাকা। আর ফরিদপুরে বসে প্রধানমন্ত্রীর বিআই এর অনুসারীদের পকেট এ পাওয়া যায় দুই হাজার কোটি টাকা আর তারা পাচার করে তিন হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশকে এই অবস্থায় নিয়ে ফেলেছে আওয়ামী লীগ।
যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, সারা বিশ্বের স্বীকৃত অর্থনৈতিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) বলেছেন ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যত টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা দিয়ে ২৬টি পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত। কোথায় নিয়েছে দেশটা। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করা শুধু বিদেশিদের আগ্রাসন না। এগুলোতো আগ্রাসন, নিজের নাগরিকদের অধিকার হরণ করা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে একটি রাম রাজ্যে পরিণত করেছে। চোরের একটা মেকি সংঘ তৈরি করেছে এই সংঘকে নরকে ফেলে দিতে হবে আন্দোলনের মাধ্যমে।
আলোচনা অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদ (সরপ) এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ ওসমান গনী। সরপ এর সহ সম্পাদক মো. শরীফ হোসেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।