জিয়া-খালেদা’র পর আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ঘৃণ্য’ রাজনীতির টার্গেট তারেক রহমান

0

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানসহ বিএনপির কোনো নেতা জড়িত নয় এমনটিই বিশ্বাস করে বাংলাদেশের কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষ।

কারণ, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান, আব্দুস সালাম পিন্টু এবং লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপি নেতাদের জড়িয়েছে। এ মামলায় বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মীরা জড়িত নয়।

অথচ আওয়ামী লীগ সরকার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না করে, প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের না করে, প্রতি বছরের ২১ আগস্ট আসলেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে পুরো বিষয়টাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে যায়। তাঁদের
উদ্দেশ্য একটাই এদেশ থেকে বাংলাদেশী জাতীয়বাদকে ধ্বংস করা।

প্রিয় পাঠক, তৎকালীন ‘বিএনপি সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার পরপরই মামলা করেছে, তদন্তের ব্যবস্থা করেছে। এমনকি এফবিআইকে আনা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১/১১ সরকারের সময় যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, যে তদন্ত করা হয়েছিল সেখানে কোথাও তারেক রহমান কিংবা বিএনপির কোনো নেতার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি ৬১ জন সাক্ষীও সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদেরও কেউ তারেক রহমানের নাম বলেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই গোটা পরিস্থিতি বদলে গেলো।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র এখানেই শেষ নয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, যিনি তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময় চাকরি হারিয়েছেন তাঁকে দিয়েই আবার নতুন করে তদন্ত শুরু করলো। এবং চাকরি হারানো সেই কাহার আকন্দকেই তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো। এমনকি ২০০৮ সালের নির্বাচনে কাহার আকন্দ সে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিল। তাঁকেই দেওয়া হলো তদন্ত কর্মকর্তা।

কাহার আকন্দের তদন্তে বিএনপি নেতাদের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসাতে মুফতি হান্নানকে ৪১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। পরবর্তীতে মুফতি হান্নান আদালতে সে নিজেই বলেছে আমাকে চরম নির্যাতন করে আমার হাতের নকগুলোও তাঁরা তুলে ফেলেছে। প্রচন্ড রকমের নির্যাতন করে তার কাছ থেকে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

প্রিয় পাঠক, সেই জবানবন্দিতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আমি বিএনপি’র একজন ক্ষুদ্রতম কর্মী হিসেবে নয় বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি ‘তারেক রহমান, আব্দুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপির কোন নেতাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। কারণ যে কোনো ঘটনার একটা মোটিভ থাকে। এ ঘটনায় বেনিফিশিয়ারি (লাভবান) কে হয়েছে? নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগই হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ এটিকে ইস্যু করে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছে।

প্রিয় পাঠক, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার জন্ম হয়নি, কিন্তু ইতিহাসবিদদের লিখিত ইতিহাস থেকে যা জানতে পেরেছি। তা বলতে গেলে সত্যিকার অর্থেই আওয়ামী লীগের চক্রান্ত শুরু হয়েছে জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়েই। পরে ১/১১-এর পর থেকে আবার শুরু হয়। কারণ তাঁদের লক্ষ্য একটাই আার তা হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনকে নির্মূল করে দিয়ে এবং তার ধারক-বাহক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখাই আজকের আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশ্য।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সেই উদ্দেশ্য কখনোই সফল হবেনা, সুতরাং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোকনা কেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে চলমান স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফেরত পাবে, ইনশাআল্লাহ।

পরিশেষে আমার সম্মানিত পাঠকবৃন্দদের নিকট তিনটি প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি-

১. ১/১১ সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট ২২ জনকে অভিযুক্ত করে দেয়া অভিযোগপত্রে কেন তারেক রহমানের নাম ছিল না?

২. আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কাদের স্বার্থে, কোন ইশারায় এবং কোন উদ্দেশ্যে পরবর্তীতে মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলো?

৩. বিএনপি সরকারের সময় চাকরি হারানো এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিত ব্যক্তি কাহার আকন্দকেই কেনো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিলো?

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com