আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছে: মির্জা ফখরুল

0

আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শুধু বরিশাল কেন? সব খানেই একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব। এটা তো একটা রেইন অব টেরোর। অধ্যাপক আসিফ নজরুলের অফিস কক্ষে কীভাবে তালা লাগিয়ে দিয়েছে এবং কিভাবে তাকে কিভাবে থ্রেট করেছে। এটাকে কি কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশ বলবেন? এটা তো পাকিস্তানিদের থেকেও খারাপ।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের মাজারে যান। পরে মাজারে পুস্পমাল্য অর্পন করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান, রফিক হাওলাদার, মনির হোসেন, ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহিদুল কবির, নাজমুল হাসান, সরকার মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।

গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির জিয়াউর রহমানের মাজারে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর বিনা উস্কানিতে
পুলিশ হামলা চালায়।

বিএনপি মহাসচিব পুলিশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মঙ্গলবার একটা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। বরাবর যেটা হয়ে থাকে নেতা-কর্মীরা এসে মহান নেতার মাজারে ফুল দিয়ে, জিয়ারত করে, মোনাজাত করে চলে যায়। সেটাই ছিলো উদ্দেশ্য। নতুন একটা কমিটি হয়েছে কর্মীদের একটা আবেগ ছিল। সেই আবেগ নিয়ে তারা সেদিন এখানে এসেছিল। এটাকে তারা সহ্য করতে পারেনি। কিছুতেই বেশি জমায়েত হয় সেটা তারা সহ্য করতে পারে না এবং তখন তারা অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। ১৮৭ রাউন্ড গুলি করেছে পুলিশ। নিজেরা তা স্বীকার করেছে। আমি এফআইআরটা দেখেছি। যার মধ্যে বলা হয়েছে, ১৮৭ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে। আমরা একেবারে গণতান্ত্রিক একটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও করতে পারব না। এভাবে চলে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ বিতরণেও বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার নরসিংদীতে, যশোরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কিভাবে হামলা চালিয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করছে, যাতে বিরোধী দল মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। জনগণের কথা না বলতে পারে। জনগনকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দল যেন এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারে। সেজন্য এই দমনপীড়নমূলক কাজ করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকেও এখানে আসার আগে আমি শুনেছি, ২৫ জনের মতো নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা গত পরশু এবং আজকে গ্রেফতার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি এবং একই মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তারা এখানে একটা এক দলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল থাকবে না, ঠিক যেরকম বাকশাল তৈরি করেছিল ১৯৭৫ সালে, সেইরকম একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সম্পূর্ণ ফ্যাসিস্ট কায়দায়।

তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচারী সরকার, কর্তৃত্ববাদী সরকার, ফ্যাসিবাদী সরকার তারা দীর্ঘকাল এভাবে টিকে আছে কি? থাকতে পারে নাই। এদেরকে(সরকার) পরাজিত করতেই হবে জনগণকে সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com