ঢাকা মহানগরের নতুন নেতৃত্ব দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে, প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলের
ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটি দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ভুমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করে মির্জা ফখরুলইসলাম আলমগীর বলেন, “এই দুইটি কমিটি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গঠন করা হয়েছে। এইকমিটি দুইটার প্রতি সারাদেশে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এরা সকলে পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দ।”
“আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক যে প্রেক্ষাপট সেই প্রেক্ষাপটে নতুন কমিটি গঠন নিঃসন্দেহে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে যে, এই কমিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির একটা গুনগত পরিবর্তন আসবে। বর্তমানে যে অগণতান্ত্রিক একটি সরকার যে আমাদের সমস্ত আশা–আকাংখা বিনষ্ট করে দিচ্ছে সেখানে তারা তাদের দায়িত্ব পালনকরবেন, ভুমিকা রাখবেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য।”
মঙ্গলবার, আগস্ট ০৩, ২০২১ সকালে উত্তরার বাসায় মহানগর উত্তর–দক্ষিনের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সকলের যে প্রত্যাশা সেই প্রত্যাশা হচ্ছে যে, অত্যন্ত সক্রিয়, সচল এবং কার্যকরী এইআহবায়ক কমিটি তারা অতি দ্রুত দলকে সুসংগঠিত করবে এবং একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করবে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিএনপি একটা বিশাল রাজনৈতিক দল। সেই দলের যখন একটি কমিটি তৈরি করা হয় তখন ছোট–খাটো সমস্যা থাকতেই পারে। আমরা যেটা দেখছি যে, একবারে পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দকে দিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে। প্রবীন এবং নবীনের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এটা নিসন্দেহে একটা কার্যকরী কমিটি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
মহানগর উত্তরের নতুন আহবায়ক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, “আজকেগণতন্ত্র অনুপস্থিত, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। নির্যাতন–নিপীড়ন ও অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালিত হচ্ছে।”
সেজন্য সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে জনগনের যে প্রত্যাশা জনগন যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট তিতে পারে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারে, একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাতে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হয় সেই লক্ষ্যকে সফল করার জন্যে আমরা মহানগর উত্তর ও দক্ষিন একসঙ্গে একযোগে রাজপথে আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাজ করবো। যদি প্রয়োজন হয় ১৯৯০ সালের মতো আরেক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই নব্যস্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক, অবৈধ, মিডনাইটের সরকারকে রাষ্ট্র ক্ষমতাকে সরানোর আমাদের আন্দোলন–সংগ্রাম করবো।”
মহানগর দক্ষিনের নতুন আহবায়ক চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, “আমরা চেষ্টাকরবো আমরা যাতে এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি সবাইকে সাথে নিয়ে। সে ব্যাপারে মহাসচিব থেকে শুরু করেমহানগরসহ দলের সকল পর্যায়ের নেতা–কর্মীর সহযোগিতা চাই। আমরা উত্তর–দক্ষিন মহানগর এক সাথে মিলেই সমবেতভাবে মহানগরীতে কাজ করার চেষ্টা করবো যাতে কোথাও কোনো গ্যাপ সৃষ্টি না হয়, কোনো ভুল–বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়। সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।”
“আমাদের একটাই উদ্দেশ্য যে, আজকের এই সরকার যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকেফিরিয়ে আনা এবং গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা।”
মহানগরের অতীতে নেতৃত্বদানকারী মীর শওকত আলী (প্রয়াত), সাদেক হোসেন খোকা (প্রয়াত), মির্জা আব্বাস, হাবিবউননবী খান সোহেল, এমএ কাইয়ুম, সালাহ্উদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাশার, আহসানুল্লাহ হাসান(প্রয়াত), আবদুল আলীমনকি প্রমূখের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ আমরা বিশ্বাস করি সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করারচেষ্টাকরেছেন। আমরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সাংগঠনিক অবস্থাটাকে সম্পূর্ণভাবে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করবোযাতে একটা কাউন্সিল করতে পারি।’’
নতুন কমিটি গঠনের জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিবের প্রতি কৃতজ্ঞতা দুই আহবায়কই প্রকাশ করেন।
এই সময়ে মহানগরের রফিকুল আলম মজনু, আমীনুল হক, আবদুল আলীম নকি, তাবিথ আউয়াল, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, আতিকুল ইসলাম মতিন, মোশাররফ হোসেন খোকন, মোস্তাফিজুর রহমানসেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, মহানগর উত্তর যুব দলের এসএম জাহাঙ্গীর, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের শায়রুল কবির খানপ্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আমান ও আবদুস সালামের নেতৃত্ব নতুন আহবায়ক কমিটির নেতারা বিএনপি মহাসচিবের বাসায় নিজস্ব চেম্বারেতার সাথে সাক্ষাত করেন এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। মির্জা ফখরুল নবগঠিত কমিটির নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে সংগঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।